ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩
৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

চট্টগ্রাম: ১৫ বছর দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রাঙ্গুনিয়ার সব মানুষের সেবা করেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সবার পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। সবার জন্য আমার দুয়ার খোলা রেখেছি।

এখন আমি আপনাদের দুয়ারে হাজির হয়েছি। আপনারা আমার জন্য আপনাদের দুয়ার খোলা রাখবেন।
আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে পুনরায় এমপি নির্বাচিত করবেন।  

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী আংশিক) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে এভাবেই ভোট চাইছেন।  

সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে নির্বাচনী গণসংযোগের শুরুতে তিনি রাঙ্গুনিয়ার রাহাতিয়া দরবারে জেয়ারত করেন। এরপর প্রচারণার শুরু থেকে স্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি সর্বসাধারণের মাঝে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা দেয়। সড়ক ও আশপাশের বাড়িঘর থেকে তথ্যমন্ত্রীকে দেখতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ এবং অনেকেই ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে সমর্থনের বিষয়টি জানান।  

এসময় মন্ত্রী সবার উদ্দেশে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান এবং স্থানীয় মুরব্বিসহ জনসাধারণের সঙ্গে করমর্দন করেন। স্থানীয়দের উচ্ছ্বাসের জবাবে তিনি নিজেও নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়।  
 
প্রচারণাকালে তিনি মরিয়মনগর গাজী রশিদিয়া পাড়া, আমিরকুলাল পাড়া, পাঁচবাড়ি, সোনালী ব্যাংক চত্বর, বালুগোট্টা, চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের কাটাখালী, কদমতলী, জিয়ামার্কেট, বনগ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামে প্রচারণা চালিয়েছেন এবং একাধিক পথসভায় বক্তব্য দেন।

পথসভায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একজন শ্রমিক কিংবা কামলার চাকরির সময় সর্বোচ্চ ৮ ঘণ্টা। আর আমি দৈনিক ১৬ ঘণ্টা পরিশ্রম করি। রাত দুটার আগে কখনো ঘুমাতে পারি না। সবার শুক্র ও শনিবার ছুটি আছে, আর আমার কোনো ছুটি নেই। গত ১৫ বছর ধরে রাঙ্গুনিয়ার সব মানুষের জন্য আমি নিরন্তর কাজ করেছি। আমাকে ভোট দেয়নি, আমার বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করেছে এরকম মানুষের চাকরিও আমার হাত ধরে হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম, কনকর্ড ইন্টারন্যাশনালের মালিক মোহাম্মদ আবু জাফর, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, মো. শাহজাহান সিকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, ইফতেখার হোসেন বাবুল, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারসহ উত্তর জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।