চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নে নৌকা ও ঈগল মার্কার প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পান্নাপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন- নৌকার সমর্থক জানে আলম (২৬), মো. মামুন (২৫), ওসমান গনি মিয়া (২৮), মো. ফাহিম (২২)।
পৃথক আরও একটি ঘটনায় নৌকার সমর্থক আবদুল রাজ্জাক (২২), সিফাত (২০) ও তুহিন (২১) নামে তিন যুবককে গুরুতর আহত হয়েছেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কুসুমপুরা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকা ও ঈগল প্রার্থীর সমর্থকদের পৃথক দুটি পথসভা চলছিল। এ সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকরা নিজ নিজ প্রতীক নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। হঠাৎ ঈগল প্রার্থীর সমর্থকরা নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর লাঠি সোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। ঈগল প্রার্থীর সমর্থক নুরুল ইসলাম, এমএ এজাজ চৌধুরী, আবু তৈয়ব, সালাহ উদ্দিন সরোয়ার, ফজল কাদেরের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন লাঠি-সোটাসহ দেশিয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে নৌকা সমর্থিত বেশকয়েক জনকে আহত করেন।
অপরদিকে, নৌকার সমর্থক আবদুল রাজ্জাক, সিফাত ও তুহিন পটিয়া সদরে আসার পথে উজিরপুর এবাদত খানা এলাকায় হল ওকে সেন্টারের সামনে ঈগল মার্কার সমর্থক মোজাম্মেল হক লিটন ওরফে ডাকাত লিটনের নেতৃত্ব তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। নৌকার সমর্থকদের তারা অতর্কিত পিটিয়ে জখম করে। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে ও তার প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়কারী নাজমুল করিম শারুন নিজের অস্ত্র দিয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালান। এ ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
শারুণের গুলির ঘটনাটি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোহাম্মদ সোলাইমানের কাছে বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
এমজে