চট্টগ্রাম: গত বছরের ডিসেম্বরে অপহরণের শিকার হয়েছিল এক যুবক। কিন্তু তার শরীরে পুলিশের সোয়েটার দেখে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় অপহরণকারীরা।
বুধবার (৬ মার্চ) চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার ইকবালের আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী আইমান রশিদের বাবা হুমায়ুন রশিদ।
অভিযুক্তরা হলেন- পুলিশ কনস্টেবল নুর মোহাম্মদ, আবিদ আল মাহমুদ, আরিফ হোসেন, টিপু দাশ ও নুরনবী এবং তাদের সহযোগী সাইফুল ইসলাম, মো. রুবেল ও অপু পাল। নুরনবী সিএমপিতে, অপর চারজন চট্টগ্রাম রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সে (আরআরএফ) কর্মরত।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, স্নাতক শ্রেণিতে অধ্যয়নরত আইমান রশিদ ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর আনোয়ারা প্রান্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এলাকায় হাঁটতে যান। এ সময় একটি মাইক্রোবাস (চট্টমেট্রো-৫১-৩১০২) এসে তাকে তুলে নিয়ে মারধর করে এবং পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। একপর্যায়ে আইমানের শরীরে পুলিশের সোয়েটার দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা।
‘আইমান জানায়, তার ভাই নোমান রশিদ ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কনস্টেবল পদে কর্মরত। এ তথ্য জেনে অপহরণকারীরা খোঁজখবর নেয়। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে চার ঘণ্টা পর নগরের সিআরবি এলাকায় আইমানকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে মাইক্রোবাসের নম্বরপ্লেটের সূত্র ধরে চালক ও অপহরণকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে’।
বাদীর আইনজীবী জুবাইর আলম বলেন, আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরআরএফ চট্টগ্রাম রেঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শাহজাহান বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে। তদন্ত চলছে’।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২৪
এসি/টিসি