চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার, স্থানীয় সরকার পরিচালক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড ও সহকারী কমিশনার হিসেবে ১৯ নারী মাঠ প্রশাসন সামলাচ্ছেন। তাদের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চারজন ও এসিল্যান্ড হিসেবে পাঁচজন দায়িত্ব পালন করছেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি, স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক শাহিনা সুলতানা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক লুৎফুন নাহার দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদে মিরসরাইয়ে মাহফুজা জেরিন, বাঁশখালীতে জেসমিন আক্তার, চন্দনাইশে মাহমুদা বেগম ও কর্ণফুলী উপজেলায় মাসুমা জান্নাত দায়িত্ব পালন করছেন।
এসিল্যান্ড পদে রাঙ্গুনিয়ায় মারজান হোসাইন, চন্দনাইশে ডিপ্লোমেসি চাকমা, পটিয়ায় ফাহমিদা আফরোজ, লোহাগাড়ায় নাজমুন লায়েল, বোয়ালখালীতে নুসরাত ফাতেমা চৌধুরী দায়িত্বরত আছেন।
সিনিয়র সহকারী কমিশনার পদে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে গাজালা পারভীন রুহী, নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী, তাহমিনা আক্তার, জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা পদে সুনন্দা রায়, সিনিয়র সহকারী কমিশনার পান্না আক্তার ও চান্দগাঁও সার্কেল এসিল্যান্ড পদে কর্মরত আছেন ফেরদৌস আরা।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, আমি একজন নারী হলেও সংসার ও অফিসের কাজকে সমানভাবেই গুরুত্ব দিই। আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করলে যেকোনও বিষয়ে সফলতা পাওয়া যায়। নারীরা আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে বলেই কর্মক্ষেত্রে অবস্থান বাড়ছে এবং সফলতা মিলছে।
চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা বেগম বলেন, নারীর জীবন অনেক চ্যালেঞ্জিং। সংসার, চাকরি ও মায়ের দায়িত্ব সমানভাবে পালন করতে হয়। আমি কর্মক্ষেত্রে নারী হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবেই কাজ করি। সরকার ও রাষ্ট্র নারীকে যেভাবে সম্মান দেয়, অনেক পরিবার সেটা দেয় না। পরিবার থেকেই নারীকে উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। যেটা আমি আমার পরিবার থেকে পেয়েছি।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, যে দায়িত্ব সরকার আমাকে দিয়েছে সেটি জনগণের জন্য পালন করার চেষ্টা করি। সংসার ও চাকরি সমানভাবে চালাতে পরিবারের বড় সাপোর্ট থাকে। আমি আমার পরিবার থেকে সাপোর্টটা পাই।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৪
বিই/এসি/টিসি