চট্টগ্রাম: একসময় সন্তান, পরিবার-পরিজন নিয়ে ইফতার করলেও জীবন সায়াহ্নে এসে একাকী ইফতার করছেন বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দারা। নিঃসঙ্গতাই এখন তাদের ইফতার ও সাহরির সঙ্গী।
বৃদ্ধাশ্রমের নিঃসঙ্গ বাসিন্দাদের সঙ্গী হতে হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ইফতার করেছেন রাউজানের আমেনা বশর বৃদ্ধাশ্রমে।
বুধবার (২০ মার্চ) মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার পলাশের উদ্যোগে রাউজানের নোয়াপাড়ার বৃদ্ধাশ্রমে এ ইফতারের আয়োজন করা হয়। ইফতার করেন কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আয়োজক আনোয়ার পলাশ বলেন, ‘আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় পরিবার থেকে নিগৃহিত প্রবীণরাই বৃদ্ধাশ্রমে থাকে। পরিবার স্বজন থেকে আলাদা থাকার যে জীবনধারা সেটা আমাদের সমাজে খুব একটা সহজ নয়। আবার আমাদের মধ্যেও অনেকে আছেন যারা পড়াশুনার প্রয়োজনে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে শহরে থাকেন। ছোট পরিসরে এই দুই বয়সের একই হাহাকার নিয়ে থাকা কিছু মানুষকে একদিন পারিবারিক আবহে ইফতারের সুযোগ করে দিতেই এই আয়োজন করেছি আমরা। ‘
এ সময় শাহারিয়ার সুমন, রাকিবুল শাহ রাকিব, আবদুল্লাহ আল সাজিদ সিয়াম, শিমলা দত্ত তন্বী, নাজিম উদ্দিন, আবদুস সোবহান, এম এ মনির, রাবেয়া বসরি লিজা, মোহাম্মদ শাহারিয়ার, লায়লা সিকদার লিপি, আনিকা সুলতানা, তুসমিতা আক্তার, রাজিব মাহমুদ, রাসেল আহম্মেদ, জালাল উদ্দীন মুহাম্মদ জোবায়ের, মোহাম্মদ সায়েদ উদ্দিন শাহ প্রমুখ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নেওয়া মানুষদের সঙ্গে ইফতার করেন।
ইফতারে আমেনা বশর বৃদ্ধাশ্রমে বসবাসরত ৪৮ জন প্রবীণ অংশ নেন। শিক্ষার্থীদের এভাবে কাছে পেয়ে জীবন সায়াহ্নে পরিবার থেকে আলাদা থাকা এসব মানুষগুলো যেন অন্য রকম এক আনন্দে মেতেছিল।
আনোয়ার পলাশ বলেন, ‘উনারা সকলে খুব খুশি হয়েছেন। আবার কান্নাও করেছেন পরিবার থেকে আলাদা থাকার যন্ত্রনার কথা বলে। আসলে এটা একটা অন্যরকম অনুভূতি। আমরা কথা দিয়েছি মাঝে মাঝে তাদের সঙ্গে দেখা করতে যাব। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৪
বিই/পিডি/টিসি