চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য এম এ মোতালেব সিআইপি বলেছেন, নদভী সাহেব যত্রতত্র জামায়াতের ভূত দেখছেন। কারণ তার অতীত ও বর্তমানের সাথে জামায়াতের ছায়া প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
রোববার (২৪ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সাবেক এমপি আবু রেজা নদভীর অপপ্রচার, মিথ্যাচার, সংঘাত সৃষ্টির অপচেষ্টা ও সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া অশালীন বক্তব্যের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম-১৫ আসনের বর্তমান এমপি এম এ মোতালেব সিআইপি এসব কথা বলেন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে নদভীর পরিবারের অর্জিত অবৈধ সম্পদের উৎস ও বিদেশে অর্থ পাচারের অনুসন্ধানে দুদকের তদন্ত ও বিচারের দাবি জানানো হয়।
নদভীর মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশি উল্লেখ করে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মোতালেব বলেন, ক্ষমতার দর্পে তিনি ধরাকে সরা জ্ঞান করেছিলেন। এখন আওয়ামী লীগের জন্য সেকি মায়াকান্না করছেন। একদিনও আওয়ামী লীগ না করে ক্ষমতার গাড়িতে চড়ে উড়ে এসে জুড়ে বসে তিনি যে রাজনীতি করেছেন তা ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। পরিবারসহ নিজে খেয়ে আওয়ামী লীগের নামে দুর্নাম রেখে গেছেন। সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করেছেন, আলেম ওলামাদের নির্যাতন করেছেন। আর এই এসবের উপযুক্ত জবাব গত ৭ জানুয়ারি জনগণ সঠিকভাবে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কে না জানে উনার অপকর্মের কথা! এখন হঠাৎ সাংবাদিক সম্মেলনে শালীনতার সীমা অতিক্রম করে তিনি শাক দিয়ে মাছ ডাকতে চেয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য প্রফেসর ডা. মিনহাজুর রহমানকে লক্ষ্য করে মিথ্যার তীর ছুঁড়তে দেখলাম। যদিও এই তীর ইতিমধ্যে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস, কারণ ডা. মিনহাজকে এলাকার মানুষ ভালোবাসেন, তার কথায় আস্থা রাখেন।
এম এ মোতালেব বলেন, তারপর স্ত্রী, ভাইপো, শ্যালক, ভাগিনা, এপিএসরা সিন্ডিকেট করে লুটপাটের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছিলেন সাতকানিয়া-লোহাগাড়াকে। এখন চোরের মায়ের বড় গলা হয়েছে। তিনি নিজেকে ধোয়া তুলসী পাতা ও নিষ্পাপ প্রমাণ করতে চান। তার তীর আমার দিকে না কি সরকারের দিকে? তা পরিস্কার করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যাপক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন হিরু, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও বড়হাতিয়া ইউনিয়নের পরিষদ চেয়ারম্যান বিজয় কুমার বড়ুয়া, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আহমদ সাইফুদ্দীন সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমদ লিটন ও জসিম উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহজাহান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম শিকদার, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিয়া কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মামুনুর রশিদ, সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আঞ্জুমান আরা বেগম, সাতকানিয়া পৌর মেয়র মোহাম্মদ জুবায়ের, সাতকানিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গফুর লালু, সাধারণ সম্পাদক একেএম আসাদ, চুনতি ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন জুনু, আধুনগর ইউপি চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন, পদুয়া ইউপি চেয়ারম্যান হারুন রশিদ, কলাউজান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহাব, এওচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ, কাঞ্চনা ইউপি চেয়ারম্যান রমজান আলী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক উজ্জ্বল ধর, সাতকানিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সুমন, লোহাগাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রিদওয়ানুল হক সুজন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন রকি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কৃষক লীগের সদস্য মিজানুর রহমান, সাতকানিয়া কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর হোসেন, সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো.আলী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মন্নান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৪
এমআর/পিডি/টিসি