চট্টগ্রাম: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন 'পদ্মজা' নামের থ্রি-পিসের ভিডিও। এ পোশাক পরিধান করে নানা ভিডিও টিকটক, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম সবখানেই ভাইরাল হয়েছে।
এছাড়াও শপিং মলগুলোতে তরুণীরা মজেছেন সারারা, গারারা ও নাইরা নামের ভারতীয় পোশাকে। এ ছাড়া পাকিস্তানি কুর্তি, লেহেঙ্গা, ক্রপটপ গাউন আর বার্বি গাউনের দিকেও ঝুঁকছেন অনেকেই।
চট্টগ্রামে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। নিউ মার্কেট, বহদ্দারহাট সজল সুপার মার্কেট, ইলিজি স্কাই পার্ক, সেন্ট্রাল প্লাজা, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, বালি আর্কেড, গুলজা, মতি টাওয়ারসহ বিপণি বিতান গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়।
ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে শপিং মলগুলতো ক্রেতাদের ভিড় ততই বাড়ছে। বিশেষ করে রাতে ক্রেতাদের চাপে বিক্রয় কর্মীদের দম ফেলার ফুরসত নেই।
মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, শাড়ির দোকানগুলোয় বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। এছাড়াও গার্মেন্টসের তৈরি পোশাকের দোকান, জুতা স্যান্ডেলের দোকান, প্রসাধনীর দোকানে সবচেয়ে বেশি ক্রেতাদের ভিড়। তবে ক্রেতাদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের ঈদে মেয়েদের পোশাকের মধ্যে পদ্মজা, আলিয়া কাট, সারারা, গারারা ও নাইরা নামের এসব পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে সুতি পোশাকের চাহিদাও রয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য পোশাকও বিক্রি হচ্ছে।
ঈদে প্রতিবছরই দেশি পোশাকের চেয়ে ভারতীয় আর পাকিস্তানি পোশাকের দিকে নজর তরুণ তরুণীদের। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এছাড়া তরুণীরা মজেছেন সারারা আর গারারা ও নাইরা নামের পোশাকে। ভারতীয় পোশাকের দাম একটু বেশি। দাম বেশি হলেও ভালো মানের পোশাকই ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।
বহদ্দারহাট ইলিজি স্কাই পার্কের দ্বিতীয় তলার 'ঙ' নামের দোকানের সত্ত্বাধিকারী সুনীল দেবনাথ বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর আমাদের এ মার্কেটের যাত্রা। আমাদের সব নতুন আইটেম। আমাদের মূল টার্গেট তরুণীদের পোশাকে। তাই ভারতীয় আর পাকিস্তানি সব নতুন কালেকশন আমাদের রয়েছে। এবার তরুণীরা সব চেয়ে বেশি কিনছেন আলিয়া কাট, পদ্মজা, সারারা, গারারা আর পাকিস্তানি কুর্তি।
তিনি জানান, নতুন মার্কেট হওয়ায় আমাদের এখানে সবসময় জমজমাট। লেহেঙ্গা বা অন্যান্য ডিজাইনের পোশাকের চেয়ে এবার আলিয়া কাট, গাউন, গারারা ও নাইরা নামের এ পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে গরমের মৌসুম হওয়ায় সুতি পোশাকের চাহিদাও বেশি। ছোট মেয়েদের এ তিনটি পোশাকের প্রতিটির দাম ২৫০০ টাকা থেকে ৩৫০০ টাকা এবং বড়দের ৩৫০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে।
এদিকে নগরের সানমার ওশান সিটির নিচ তলার কেটস আই শোরুমের মালিক মো. আব্দুল কাদের বলেন, ভালো বেচা-বিক্রি শুরু হয়েছে। আমাদের পাঞ্জাবি, টি শার্ট, শার্ট বিক্রি সবচেয়ে ভালো।
আফমি প্লাজার আমান ফ্যাশেনের স্বত্বাধিকারী জানান, ঈদের আর ৬ দিন বাকি আছে আশা করি এখন থেকে ঈদ পযন্ত বেচা বিক্রি ভাল হবে।
অন্যদিকে জিইসি মোড়ের সেন্ট্রেল প্লাজার দ্বিতীয় তলায় বাটা শোরুমের বিক্রেতা রহমান উল্লাহ জানান, গত শুক্রবার থেকে ক্রেতারা ভিড় করছেন। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
কলেজ পড়ুয়া সাদিয়া আখতার ইজমা বাংলানিউজকে বলেন, অনলাইনে অনেক পোশাক পছন্দ হয়েছে। প্রতিবছর আমাদের বেশিরভাগেরই ভারতীয় ও পাকিস্তানি পোশাকের দিকে ঝোঁক থাকে। এবার তরুণীদের বেশি আকর্ষণ পদ্মজা, আলিয়া কাট, সারারা, গারারা ও নাইরা নামের তিনটি পোশাকে। আমি নিজেও আলিয়া কাট নিয়েছি। দাম একটু বেশি হলেও সবাই ওই পোশাকগুলোর প্রতি আকৃষ্ট।
বিক্রেতারা জানান, এ সপ্তাহেই মার্কেটগুলোতে ক্রেতার আনাগোনা শুরু হবে। কেননা, চাকরিজীবীরা এ সপ্তাহেই বেতন পেয়ে যেতে পারেন।
তবে ত্রেতারা বলছেন, গত বছরের থেকে এবারের ঈদের পোশাকে দাম একটু বেশি। তবে দাম বেশি থাকলেও তারা সাধ্যের মধ্যে পোশাক কেনাকাটা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৪
বিই/পিডি/টিসি