চট্টগ্রাম: ঈদের কেনাকাটার তালিকায় পাঞ্জাবি থাকবে শীর্ষে। পরতে আরাম, দেখতে সুন্দর নিত্যনতুন ডিজাইনকে প্রাধান্য দেন ক্রেতারা।
সরেজমিন দেখা গেছে, কুমিল্লার সেরা খাদি পাঞ্জাবিসহ বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের বিপুল সংগ্রহ রয়েছে খাদিঘরে। বড়দের পাশাপাশি ছোটদের পাঞ্জাবির সংগ্রহও বেশ। তরুণ, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে নারীরাও প্রিয়জনের জন্য পাঞ্জাবি কিনছেন খাদিঘর থেকে। ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে বেচাকেনা বাড়ছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ক্রেতাসমাগম তুলনামূলক কম। বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিক্রয়কর্মীদের দম ফেলারই ফুরসত মেলে না।
খাদিঘরের নিচতলায় কথা হয় ব্যবস্থাপক লিটন কান্তি দত্তের সঙ্গে। ২৩ বছর ধরে আছেন এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আশির দশক থেকে সুনামের সঙ্গে একদামে দেশি পাঞ্জাবি বিক্রি করছে খাদিঘর। আরামদায়ক কাপড়, নিত্যনতুন ডিজাইন আর মানোত্তীর্ণের কারণেই আমাদের নিজস্ব গ্রাহকশ্রেণি তৈরি হয়েছে। ঈদ মৌসুম ছাড়াও সারা বছর পাঞ্জাবিসহ ছেলেদের শার্ট, ফতুয়া, পাজামা, লুঙ্গি, গামছাই বিক্রি করি আমরা।
এবারের পাঞ্জাবির দাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁতের কাপড়, হাতের কাজ, কারচুপি কাজ, অ্যাম্ব্রয়ডারির কাজের ওপর দাম নির্ভর করে। এবার ৯০০, ১১০০, ১৬০০, ১৮০০, ২২০০, ৩০০০, ৪৫০০ টাকা দামের পাঞ্জাবি আছে আমাদের। এ ছাড়া ৬০০ টাকায় শার্ট, ৭৫০ টাকায় ফতুয়া, ৫০০ টাকায় পায়জামা, ৩০০ টাকায় গামছা পাওয়া যাচ্ছে।
দোতলায় শিশু-কিশোরদের পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। এখানে অ্যান্ডি সিল্কের বড়দের পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে ৭ হাজার টাকায়।
খাদিঘরে পাঞ্জাবি পছন্দ করছিলেন দুই বন্ধু আবদুল জলিল ও শাহনেওয়াজ। তারা জানান, প্রতিবছর ঈদের আগে খাদিঘর থেকে পাঞ্জাবি কিনি আমরা। সেই পাঞ্জাবি দর্জির দোকানে সেলাই করা পাঞ্জাবির মতো টেকসই হয়। তা ছাড়া পরতে আরাম, দেখতেও সুন্দর। দামও তুলনামূলক কম।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২৪
এআর/টিসি