চট্টগ্রাম: নগরের ফলমণ্ডির ফুটপাত ও ফ্লাইওভারের নিচের মিডআইল্যান্ডে রাখা ২০০ তরমুজ জব্দ করে কয়েকটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা জজ) মনিষা মহাজনের নেতৃত্ব পরিচালিত অভিযানে তরমুজ জব্দ করা হয়।
চসিক জানিয়েছে, ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরের ফলমন্ডি, স্টেশন রোড, নিউ মার্কেট, জিপিও মোড়, সদরঘাট অমরচাঁদ রোড, জুবিলি রোড এবং আমতল পর্যন্ত নালা ও ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা, দোকান উচ্ছেদ ও মালামাল জব্দ করে। এ সময় পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটপাত উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় পরিচালিত হয় এ অভিযান। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।
এদিকে, যানজট কমানোর পাশাপাশি পথচারীদের জন্য নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিতে ফুটপাত উদ্ধারে অভিযান চলমান রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী৷
বৃহস্পতিবার জাপান থেকে ফেরা মেয়র রেজাউল টাইগারপাসে চসিক কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে নগরে চলমান ধারাবাহিক উচ্ছেদ অভিযান ও মনিটরিং কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার সময় এ মন্তব্য করেন।
মেয়র বলেন, উচ্ছেদ অভিযান ঠেকাতে বিভিন্ন চাপ আসছে৷ কোনো চাপে নত হওয়া যাবে না৷ তবে, নগরকে বাসযোগ্য রাখার স্বার্থে উচ্ছেদ অভিযান চলমান রাখতে হবে৷
‘জাপানে দেখলাম পর্যাপ্ত ফুটপাত থাকায় মানুষ প্রাণখুলে হাঁটছে, যা নাগরিকদের সুস্থতা নিশ্চিতের পাশাপাশি নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত করছে৷ চট্টগ্রামেও আমি এমন পরিবেশ গড়ে তুলতে চাই৷ ফুটপাত উদ্ধার করতে হবে, উদ্ধার করা ভূমি মনিটরিং করতে হবে, জনগণের ফুটপাত জনগণকে ফেরত দিতে হবে৷
এ সময় আইন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৈতী সর্ববিদ্যা উচ্ছেদ কার্যক্রম সম্পর্কে মেয়রকে অবহিত করেন৷ সভায় চসিকের ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলামসহ বিভাগীয় প্রধান ও শাখা প্রধানরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মে ২, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি