চট্টগ্রাম: পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস তিন ঘণ্টায় ৯৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। সোমবার (৬ মে) বিকাল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাত পরিমাপ করা হয়।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মেঘনাদ তঞ্চ্যঙ্গা বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
বেলা আড়াইটা থেকে নগরের আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। বিকেল তিনটাতেই যেন নেমে আসে সন্ধ্যা। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে থাকে গাড়ি। পথচারী ও স্কুলফেরত শিক্ষার্থীরা আশ্রয় নেন সড়কের পাশের বাসাবাড়ি ও দোকানে। তারপর বজ্রসহ ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে ছিল কালবৈশাখী ঝড়। এ সময় বৃষ্টির পানি দ্রুত নালায় নামতে না পেরে বেশ কিছু সড়কে হাঁটুপানি জমে যায়। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। ঝড়ে জাকির হোসেন সড়কের ওমর গণি এমইএস কলেজ এলাকায় একটি বড় গাছ, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার পড়ে যায়। এছাড়া কাজীর দেউড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ো বাতাসে গাছ উপড়ে যাওয়ার খবর পাওয়ার গেছে।
সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান তারেক ঘটনাস্থল থেকে বাংলানিউজকে জানান, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ গাছ ও ট্রান্সফরমার সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। অনেক পুরোনো এবং বড় গাছ হওয়ায় সড়ক থেকে গাছ সরাতে কিছুটা সময় লাগছে।
শুধু যে বড় গাছ পড়েছে তা নয়, কালবৈশাখী ঝড়ে অনেকের ছাদবাগান তছনছ করে দিয়েছে। গাছে থাকা আম, জামরুল সব নষ্ট করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি