চট্টগ্রাম: এবারের এসএসসি পরীক্ষায় নগরের প্রথম সারির ৯টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে।
রোববার (১২ মে) চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
জানা গেছে, কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৪৭৫ জন। কৃতকার্য হয়েছে ৪৭৪ জন।
অকৃতকার্য হয়েছে একজন জন শিক্ষার্থী। এ স্কুলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭৪ জন। এছাড়া ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৪৭৭ জন। কৃতকার্য শিক্ষার্থী ৪৬৯ জন। অকৃতকার্য ৮ জন শিক্ষার্থী। এ স্কুলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩২ জন। এদিকে, গভ. মুসলিম হাই স্কুলে পরীক্ষার্থী ছিল ৪৪০ জন এরমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৪৩৬ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৪ জন শিক্ষার্থী। এ স্কুলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩১৫ জন। অন্যদিকে, নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৪৩৮ জন। কৃতকার্য হয়েছে ৪৩৫ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৩ জন শিক্ষার্থী। এ স্কুলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬১ জন শিক্ষার্থী। এছাড়াও চট্টগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ৩০৮ জন এরমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৩০৬। অকৃতকার্য হয়েছে ২ জন। এ স্কুলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৪ জন শিক্ষার্থী। চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৩৩৮ জন। এরমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৩৩৪ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৪ জন। এ স্কুলে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২১১ জন। বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। এ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৪৬৫ জন। এরমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ৪৪৩ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ২২ জন শিক্ষার্থী। এ স্কুলে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৮৭ জন। সিটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ২৩৫ জন। এরমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ২৩১ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ৪ জন। এ স্কুলে জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১৭ জন শিক্ষার্থী। হাজী মোহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ১৫২ জন। এরমধ্যে কৃতকার্য হয়েছে ১৫১ জন। অকৃতকার্য হয়েছে মাত্র ১ জন। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৮৬ জন শিক্ষার্থী।
এদিকে, শতভাগ পাস করা বিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী রয়েছে হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে। যেখানে ২৪৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে সবাই পাস করেছেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়রাম্যান (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র নাথ বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি-বেসরকারি যে কোনো বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হতেই পারে। তবে, এখানে অভিভাবকদের সর্তকতা ও যত্ন নেওয়াটা খুবই জরুরি। অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের প্রতি হয়তো সেভাবে সর্তক ও দায়িত্বশীল ছিল না তাই তারা খারাপ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
বিই/পিডি/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।