ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মাধ্যমে সরকারি অর্থ ব্যয়ের আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মাধ্যমে সরকারি অর্থ ব্যয়ের আহ্বান ...

চট্টগ্রাম: বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) কার্যালয় তথা নিরীক্ষা ও হিসাব বিভাগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বিশেষ সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।  

সিএজি কার্যালয়ের চলমান কার্যক্রম সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টস, চট্টগ্রাম বিভাগের উদ্যোগে এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

এ উপলক্ষে রোববার (১২ মে) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম।  

ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টস এসএম মনজুর আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় জানানো হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শিতার ফসল হিসেবে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১১ মে বাংলাদেশের প্রথম কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) নিযুক্ত করা হয় যা ছিল সামগ্রিক সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনায় জনগণের স্বার্থ সুরক্ষিত করার অত্যন্ত, গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

সভায় জানানো হয়, পেনশন সেবাসহ সরকারি সব আর্থিক সেবায় দেশব্যাপী সব হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ে সেবা প্রদানে দ্রুততা, মানবিকতা, ন্যায্যতা ও আন্তরিকতা নিশ্চিত করার জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস পরিচালনা করা হচ্ছে। সেবাগ্রহীতাগণের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে অনলাইন সার্ভিস ফিডব্যাক নিয়ে টেলিফোনের মাধ্যমে সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি ক্রসচেক করে নিশ্চিত করা হচ্ছে।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ২০২১ সালের ১৭ মার্চের মধ্যে শতভাগ পেনশনারকে ইএফটির আওতায় আনা এবং স্ব স্ব ব্যাংক হিসাবে প্রতিমাসের প্রথম কর্মদিবসে পেনশনের অর্থ দেওয়া হচ্ছে।  

হেল্প ডেস্কে ফোন কলের মাধ্যমে পেনশন সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান এবং সিএএফও, পেনশন ও ফান্ড ম্যানেজমেন্টের ওয়েবসাইট থেকে তাৎক্ষণিকভাবে পেনশন সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মোবাইল অ্যাপসের  মাধ্যমে পেনশনাররা যাতে ঘরে বসেই লাইফ ভেরিফিকেশন করতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ঢাকাসহ সব বিভাগ, জেলা পর্যায় পর্যন্ত হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে সরকারি অর্থ পরিশোধে ইএফটির  পাশাপাশি Magnetic Ink Character Recognition (MICR) চেকের ব্যবহার এবং সরকারি অর্থ কোষাগারে জমাদানের ক্ষেত্রে অটোমেটেড চালান ব্যবস্থা চালুর মাধ্যমে সরকারের ক্যাশ ম্যানেজমেন্টকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।  

প্রধান অতিথি মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন দর্শন হচ্ছে সবার জন্য উন্নয়ন।  

এর জন্য গৃহীত বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুস্থ জনগোষ্ঠীর কাছে এ সব কর্মসূচির সুফল পৌঁছাচ্ছে কিনা তা নিশ্চিতকরণের জন্য নিয়মিত এ সংক্রান্ত পারফরমেন্স অডিট পরিচালনা করার আহ্বান জানান।  

প্রধান অতিথি উপস্থিত সবাইকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মাধ্যমে সরকারি অর্থ ব্যয়ের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় সেবা প্রত্যাশীরা তার সুফল পাচ্ছে।  

তিনি সেবা প্রত্যাশীদের প্রতি আরও অধিক যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানান।  

সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কর কমিশনার মো. আশরাফুল ইসলাম,  মো. মোসাদ্দেক, অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আব্দুল ওয়ারীশ, কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাজিউর রহমান মিয়া, পুলিশ সুপার (পিবিআই) নাইমা সুলতানা, কর অঞ্চল-৪, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত কর কমিশনার মির্জা মোহাম্মদ মামুন সাদাত, এলজিইডি চট্টগ্রাম বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ আল মামুন, গণপূর্ত ইএম বিভাগ-২ চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ তামজীদ হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।