ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা স্বজনদের কাছে ফিরছেন মঙ্গলবার 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৮ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৪
এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা স্বজনদের কাছে ফিরছেন মঙ্গলবার 

চট্টগ্রাম: সোমালিয়ায় জলদস্যুমুক্ত জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক স্বজনদের কাছে ফিরছেন মঙ্গলবার (১৪ মে)। সোমবার (১৩ মে) জাহাজটি কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে।

 

বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন জাহাজটির মালিক কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।

তিনি জানান, জাহাজটি আজ সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে।

নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। কুতুবদিয়া নোঙর করতে হচ্ছে কারণ এত বেশি ড্রাফটের (জাহাজের পানির নিচের অংশ) জাহাজ বন্দর জেটিতে ভেড়ানোর সুযোগ নেই। জাহাজটিতে ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর রয়েছে। কুতুবদিয়ায় প্রথমে কিছু চুনাপাথর লাইটার জাহাজে খালাস করা হবে। এরপর পতেঙ্গার কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরে বন্দর জলসীমায় আনা হবে। সেখানে বাকি পণ্য খালাস করা হবে।  

তিনি আরও জানান, জাহাজটিতে নতুন ২৩ জন নাবিক যোগদান করবেন আজ। তারা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের দায়িত্ব বুঝে নেবেন। মঙ্গলবার এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক শহরে আসার কথা রয়েছে।

জাহাজের নাবিকদের পক্ষে ক্যাপ্টেন দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, দুঃসময়ে দোয়া করার জন্য।  

এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মুক্ত ২৩ নাবিক

জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার মো. আতিক উল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এএসএম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ, এবি পদের মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসাইন, জয় মাহমুদ, ওএস পদের মো. নাজমুল হক, অয়েলার পদের আইনুল হক, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, মো. আলী হোসেন, ফায়ারম্যান মোশাররফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম, জিএস পদের মোহাম্মদ নুর উদ্দিন ও ফিটার মোহাম্মদ সালেহ আহমদ।

সূত্র জানায়, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করেছিল। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি জিম্মি করেছিল সশস্ত্র জলদস্যুরা। ১৪ এপ্রিল ভোররাতে জাহাজটি জলদস্যু মুক্ত হয়। এ সময় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজটি থেকে বোটে নেমে যায়। এ সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় এমভি আবদুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হয়। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তখন জাহাজের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়, যাতে জলদস্যুরা ফের হামলা করলে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়।

গত ২২ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছিল। কয়লা খালাস শেষে ২৭ এপ্রিল স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নতুন ট্রিপের পণ্য লোড করতে ইউএইর মিনা সাকার (Mina Saqr) বন্দরে যায়। সেখান থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এমভি আবদুল্লাহ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।