চট্টগ্রাম: মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার আসামি সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
সোমবার (১৩ মে) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে এ ঘটনা ঘটেছে।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রশিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ জানান, সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য থাকায় বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের কাঠগড়া একপর্যায়ে বাবুল বেঞ্চে বসা ছিলেন, সেখানে ঢলে পড়েন।
ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্য দেওয়ার দিন ধার্য থাকলেও কিন্তু সাক্ষী হাজির না হওয়ায় সাক্ষী হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করলে আদালত আগামী বুধবার (১৫ মে) শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
বাবুলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মামুনুল হক চৌধুরী জানান, মামলার ধার্য দিন থাকায় বাবুল আক্তারকে সকালে ফেনী কারাগার থেকে চট্টগ্রাম আদালতে আনা হয়। আদালতের কাঠগড়া একপর্যায়ে বাবুল বেঞ্চে বসা ছিলেন, সেখানে ঢলে পড়েন। বাবুল আক্তার কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। সেখানে পুলিশ ও স্বজনেরা তাঁকে প্রাথমিক সেবা দেন। কিছুক্ষণ পর তিনি সুস্থ বোধ করেন। বাবুল আক্তার কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন বলে জানান। থাকায় তাঁকে ফেনী কারাগারে না নিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখার আবেদন করা হয়। আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মিতুকে প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার মুছা ও খায়রুল ইসলাম। ২০১৬ সালে মিতু খুন হওয়ার পর তার স্বামী, সে সময়ের পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার বাদী হয়ে মামলা করেছিলেন। নানা নাটকীয়তা শেষে পিবিআইয়ের তদন্তে এখন তিনিই এ মামলার আসামি। সাবেক এসপি বাবুল ঘটনার কিছুদিন আগেই চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশে ছিলেন। বদলি হওয়ার পর তিনি ঢাকায় কর্মস্থলে যোগ দিতে যাওয়ার পরপরই চট্টগ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মে ১৩ , ২০২৪
এমআই/পিডি/টিসি