চট্টগ্রাম: সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিক এমভি আবদুল্লাহ ছেড়েছেন। এ সময় তারা ছিলেন হাসিখুশি, উৎফুল্ল।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তারা কুতুবদিয়া বহির্নোঙরে অবস্থানরত এমভি আবদুল্লাহ থেকে 'এমভি জাহান মনি ৩' নামের লাইটার জাহাজে উঠে পড়েন।
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের মালিকপক্ষের একজন কর্মকর্তা।
এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের মুক্ত ২৩ নাবিক
জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার মো. আতিক উল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এএসএম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ, এবি পদের মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসাইন, জয় মাহমুদ, ওএস পদের মো. নাজমুল হক, অয়েলার পদের আইনুল হক, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, মো. আলী হোসেন, ফায়ারম্যান মোশাররফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম, জিএস পদের মোহাম্মদ নুর উদ্দিন ও ফিটার মোহাম্মদ সালেহ আহমদ।
সূত্র জানায়, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করেছিল। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি জিম্মি করেছিল সশস্ত্র জলদস্যুরা। ১৪ এপ্রিল ভোররাতে জাহাজটি জলদস্যুমুক্ত হয়। এ সময় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজটি থেকে বোটে নেমে যায়। পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুইটি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় এমভি আব্দুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হয়। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তখন জাহাজের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, ডেকে হাই প্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়, যাতে জলদস্যুরা ফের হামলা করলে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়।
গত ২২ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছিল। কয়লা খালাস শেষে ২৭ এপ্রিল স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নতুন ট্রিপের পণ্য লোড করতে ইউএইর মিনা সাকার (Mina Saqr) বন্দরে যায়। সেখান থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এমভি আব্দুল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি