চট্টগ্রাম: মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে প্রায় আড়াই গুণ সম্পদ বেড়েছে ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিনের। নগদ ও ব্যাংক জমার পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসা বাণিজ্য সহ আছে বন্ড ও ঋণপত্রে বিনিয়োগ।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফমানা বিশ্লেষণে দেখা যায়, নজিমের বাৎসরিক আয় সাড়ে ৮ লাখ টাকা, অথচ ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা এ প্রার্থীর বাৎসরিক আয় দেখিয়েছিল ২৫ লাখ টাকা। ৫ বছরের ব্যবধানে আয় কমলেও বড়েছে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ। এবছর অস্থাবর সম্পত্তিতে নগদ ও ব্যাংক জমা হিসেবে ১ কোটি ৪০ লাখ ৭৪ হাজার ৪০২ টাকা দেখিয়েছেন তিনি। যা ২০১৯ সালের হলফনামায় ছিল ৯২ লাখ ৬১ হাজার। এছাড়া এবারের হলফনামায় বন্ড ও ঋণপত্রে বিনিয়োগ ২৫ লাখ টাকা এবং অন্যান্য ব্যবসার মূলধন বাবদ আরও ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার ২৩২ টাকার হিসাব দিয়েছেন নাজিম। তবে গতবারের হলফনামায় ৪০ লাখ টাকার প্রাডো গাড়ির তথ্য দিলেও এবার মাত্র ২৮ লাখ টাকার গাড়ির তথ্য উল্লেখ করেছেন তিনি।
৫ বছরে ব্যাংক ঋণও বড়েছে তার। এবছর ২২ লাখ ৮৯ লাখ ৮১০ টাকার ঋণ দেখিয়েছেন তিনি। এর আগে ঋণগ্রস্ত ছিলেন না তিনি।
শিক্ষাগত যোগ্যতায় স্ব শিক্ষায় শিক্ষিত এ প্রার্থী আগের (২০১৯ সালে) হফলনামায় ফ্রেন্ডস অ্যান্ড ফ্রেন্ডস কোম্পানি নামে একটি মেশিনারিজ পাটর্স আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান দেখালেও ৫ বছরের পরের হলফনামায় দেখিয়েছেন ঠিকাদারী ব্যবসা। শান্তা কন্সট্রাকশন নামে ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে আছেন তিনি।
অন্যদিকে, এ উপজেলার আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী বখতেয়ার সাঈদ ইরানেরও আছে ব্যবসা। হলফনামায় বাৎসরিক কমিশন ব্যবসা থেকে তার আয় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা দেখিয়েছেন তিনি। হাতে নগদ টাকার পরিমাণ ৬ লাখ ৭০ হাজার, বন্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জে বিনিয়োগ আছে ৫ লাখ টাকা। অবাক করা বিষয় হলফনামায় ৪০ ভরি স্বর্ণ দেখিয়েছেন তিনি। তবে কোনো মূল্য উল্লেখ নেই এসব স্বর্ণের।
এছাড়া অন্যান্য ব্যবসায় মূলধন বাবদ ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং আসবাবপত্র বাবদ উল্লেখ করেছেন লাখ টাকা। শিক্ষাগত যোগ্যতায় এমএসএস পাস করা এ প্রার্থী ব্যবসা উল্লেখ করলেও কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেনি তিনি।
জানা গেছে, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া এ দুই প্রার্থী নাজিম উদ্দিন ও বখতেয়ার সাঈদ ইরান আছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। নাজিম উদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। ইরান আছেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে। এ দুই প্রার্থীকে সমর্থন দিতে এরই মধ্যে বিভক্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগ। বিরোধের জেরে এরই মধ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগও করেছেন একে অপরের বিরুদ্ধে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এখন দেখার বিষয়কে হবেন নতুন উপজেলা চেয়ারম্যান।
প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৪
এমআর/পিডি/টিসি