ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ দ্রুত বাড়তে পারে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৪
‘বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ দ্রুত বাড়তে পারে’ ...

চট্টগ্রাম: প্রশাসনিক জটিলতা, ভিসা সহজীকরণ, শুল্ক হ্রাস এবং পর্যাপ্ত ডলার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ দ্রুত বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক (Park Young-sik)।  

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত।

সভায় মেয়র চট্টগ্রামে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপুল অর্থনৈতিক কার্যক্রম এবং ভবিষ্যতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন।

মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়ং ওয়ানসহ বেশ কিছু বড় বিনিয়োগের প্রতিষ্ঠান আছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন। নগরের যোগাযোগ অবকাঠামো ঢেলে সাজাতে আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া, নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনেও নেওয়া হয়েছে একাধিক প্রকল্প। নির্মাণ হচ্ছে বে-টার্মিনাল। ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম একটি আদর্শ স্থানে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া এই সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি আমদানির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া এগিয়ে যেতে পারে বাণিজ্য প্রতিযোগিতায়।  

রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে চট্টগ্রামে দ. কোরিয়ার ৬০টি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দ. কোরিয়া বিভিন্ন খাতে আরো বিনিয়োগ করতে চায়। তবে, চারটি সমস্যার সমাধান হলে বাংলাদেশে দ. কোরিয়ার বিনিয়োগ দ্রুত বাড়বে।  

প্রথমত, বাণিজ্য কার্যক্রম সহজ করতে বাংলাদেশ সরকার ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করলেও ব্যবসার সুযোগ বাড়াতে স্বচ্ছতা ও প্রশাসনিক গতিশীলতা আরো বাড়াতে হবে। দ্বিতীয়ত, ভিসা পাওয়ার পথ আরো সহজ করতে হবে। তৃতীয়ত, দ. কোরিয়ান বিনিয়োগকারীরা বহিঃশুল্ক কমানো উচিত। চতুর্থত, ডলার সংকটের ফলে অর্জিত মুনাফা ডলার আকারে ফেরত নিতে সমস্যা না হলে এবং কাঁচামাল আমদানিসহ বাণিজ্যিক কাজে ডলারপ্রাপ্তি সহজ হলে বাংলাদেশে দ. কোরিয়ার বিনিয়োগ দ্রুত বাড়বে।

মেয়র রেজাউল দ. কোরিয়ার বিনিয়োগ সম্প্রসারণে সর্বোচ্চ সহেযোগিতার আশ্বাস দেন।  

সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, দ. কোরিয়া দূতাবাসের কনসাল কিম জিয়ং কি (Kim Jeong ki) এবং দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৪ 
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।