ঢাকা, বুধবার, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জসিম উদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল চায় চন্দনাইশ নাগরিক ফোরাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৪
জসিম উদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল চায় চন্দনাইশ নাগরিক ফোরাম ...

চট্টগ্রাম: চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হলফনামায় তথ্য গোপনের অপরাধে জসিম উদ্দিন আহমেদের প্রার্থিতা বাতিল এবং ওসি ওবাইদুল ইসলামকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে চন্দনাইশ নাগরিক ফোরাম।  

সোমবার (২০ মে) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

ফোরামের প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের আবু আহমেদ চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমন্বয়ক মো. তৌহিদুল আলম।

তিনি বলেন, প্রার্থী জসিম উদ্দিন আহমেদ পদ্মা ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে ৮৯ কোটি টাকার ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা হওয়ায় অর্থ ঋণ আদালত গত ৩০ এপ্রিল তাকে ৫ মাসের দেওয়ানি সাজা প্রদান করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ডব্লিউ/এ) ইস্যু করেছেন। ফলে একদিকে উক্ত প্রার্থী হলফনামায় অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে গোপন করায় মনোনয়নপত্র বাতিলযোগ্য, অন্যদিকে পদ্মা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ১২ মার্চের বিআরপিডি সার্কুলার অনুযায়ী উক্ত প্রার্থী যে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি মর্মে প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানোর কথা, তা না পাঠানোতে বাংলাদেশ ব্যাংক উক্ত প্রার্থীর সিআইবি রিপোর্ট নেগেটিভ দেখায় । ফলে তার মনোনয়ন ভুলবশত বৈধ হয়ে যায়। পরে পদ্মা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ও ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা জসিম উদ্দিন আহমেদ যৌথ দরখাস্তে গত ২ মে ইতিপূর্বে ইস্যুকৃত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রিকলের আবেদন করলে আদালত পদ্মা ব্যাংকের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করেন এবং ব্যাংকের এমডিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যু করে জবাব দাখিলের জন্য ৯ মে নির্ধারণ করেন।  

ওই দিন এমডি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক যৌথ দরখাস্ত দাখিলে তার কোনো অনুমতি বা সমর্থন ছিল না বিধায়কারণ দর্শানো থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। আদালত আদেশ দেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ১২ মার্চের বিআরপিডি সার্কুলার অনুযায়ী জসিম উদ্দিন আহমেদ যে একজন ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি মর্মে প্রতিবেদন পদ্মা ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে তা আদালতে জমা দেওয়া সাপেক্ষে ২০ মে আদেশ হবে। ওই প্রার্থী হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি দেখালেও সনদ জমা দেওয়া হয়নি তাই মিথ্যা তথ্য প্রদান করায় তার মনোনয়নপত্র বাতিলযোগ্য।  

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জসিম উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে সাজা ওয়ারেন্ট গ্রহণ করার পরও অনলাইন ডিসিএমএসে (ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রদর্শিত হওয়ার পরও তাকে গ্রেপ্তার না করে ডিএসবি রিপোর্ট নেগেটিভ দেখিয়েছে। বরণ সিভিল পুলিশ পাহারায় নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যেতে সহযোগিতা করছেন। অন্যদিকে নাগরিক ফোরামের প্রার্থী আবু আহমেদ চৌধুরীর সমর্থক গত ১৬ মে জসিম উদ্দিন আহমেদ কর্তৃক মিথ্যা জ্বালাও পোড়াও ভাংচুরের ঘটনা সৃজন করে মিথ্যা মামলা দায়েরের পরিকল্পনার বিষয়ে জিডি দায়ের করলে চন্দনাইশ থানার ওসি এখনো জিডি রেকর্ড করেননি। জসিম উদ্দিন আহমেদ প্রতিদিন নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে শত শত কর্মী-সমর্থক নিয়ে গণসংযোগ ও মিছিল করছেন, ১৫-২০টি গাড়ির বহর নিয়ে রোড শো করছেন, সিএনজি অটোরিকশায় দুইটি হরণ লাগিয়ে প্রচারণা করছেন। এসব কিছুর ছবি, ভিডিওসহ অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেননি।  

মো. তৌহিদুল আলম বলেন, চন্দনাইশ থানার ওসির ভূমিকা এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যেন তিনি একজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। তিনি বিভিন্ন জনকে থানায় ডেকে, ভিডিও কলের মাধ্যমে হুমকি দিয়ে নির্দেশ দিচ্ছেন জসিম উদ্দিন আহমেদের পক্ষে কাজ করার জন্য। ওসি জসিম উদ্দিন আহমেদের যোগসাজশে অর্থের বিনিময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। তিনি একই অপরাধে গত সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরোধিতা করেছেন এবং নির্বাচনকালীন বাধ্যতামূলক ছুটিতে ছিলেন।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক মীর কাশেম চৌধুরী, সদস্যসচিব মাহবুবুল আলম খোকা, সদস্য হাজি সেলিম উদ্দিন, সীমান্ত বড়ুয়া, শওকত হোসেন ফিরোজ, বেলাল হোসেন মিন্টু প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।