ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিভাসু’তে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২৪
সিভাসু’তে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ...

চট্টগ্রাম: নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে সিভাসু’র উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) শিক্ষার্থীরা।

রোববার (৬ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে এ আল্টিমেটাম দেন তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা এ পদে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের নিয়োগ না দেওয়ারও দাবি জানান। দাবি মেনে না নিলে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ করা ও রাস্তা অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

শাটডাউন কর্মসূচি শুরুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগের এক দফা দাবিতে টানা পাঁচদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সিভাসুর শিক্ষার্থীরা। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেন তারা। তার আগে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর উপাচার্য নিয়োগের আবেদন জানিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। একই দাবি নিয়ে শনিবার (৫ অক্টোবর) শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। এই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সমর্থন জানিয়ে আসছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের স্নাতকের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, আমাদের সুস্পষ্ট কথা- আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দালালির সাথে যুক্ত কেউ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক (ভিসি) হয়ে আসতে পারবে না। ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রতিদিন নানাভাবে নানা জায়গায় আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি।  

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসবে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বয়স ২৯ বছর, যেটা বাংলাদেশের একমাত্র ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, সেখানে কীভাবে বাইরে থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া যায়? আমাদের ইন্টার্নি প্রোগ্রাম বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে, আমাদের প্রবলেম বেইজড লার্নিংগুলো, শিক্ষকদের উদ্ভাবনীগুলো অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করে; সেখানে বাইরের অপশক্তি আমাদের ওপর প্রভাব খাটাতে চায়’।  

শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষককে আমাদের ভিসি হিসেবে মানবো না। আবার অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ সিভাসুর ভিসি হওয়ার পাঁয়তারা করলে তাকেও মানবো না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ দিতে হবে আমাদেরই শিক্ষকদের মধ্য থেকে। আগের ভিসিরা রুটিন ওয়ার্ক করেই চলে গেছেন, কোনো কাজ করেননি’।  

প্রশাসনের জরুরি সভা

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সকাল সাড়ে ১০টায় জরুরি সভা ডাকেন সিভাসু’র দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামাল। উপাচার্যের সভাপতিত্বে তাঁর অফিস কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অনুষদীয় ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট, পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ), প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরাজমান পরিস্থিতি এবং ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠতম অধ্যাপকদের মধ্য থেকেই নতুন উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে অভিমত ব্যক্ত করা হয়। এ বিষয়ে সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবে বলে সভায় শিক্ষকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২৪ 
বিই/এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।