ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় অধ্যক্ষ চাকরিচ্যুত, হোস্টেল ছাড়তে হলো মধ্যরাতে 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৪
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় অধ্যক্ষ চাকরিচ্যুত, হোস্টেল ছাড়তে হলো মধ্যরাতে 

চট্টগ্রাম: পরপর দুই বছর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় চট্টগ্রাম ইমপেরিয়াল কলেজ অব নার্সিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষকে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি মধ্যরাতে ভুক্তভোগীকে প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক হোস্টেল থেকে বের করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 

বুধবার (৯ অক্টোবর) অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায় ভুক্তভোগী অধ্যক্ষ ডলি আক্তার।  

ডলি আক্তারের অভিযোগ, কোন কারণ না দেখিয়ে এক দিনের নোটিশে নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

 

তিনি বলেন, গত বছর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের নিয়ম অনুযায়ী চার মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি পেয়েছিলাম। গত ২১ সেপ্টেম্বর অসুস্থতার কারণে প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডা. দিল আনজিজের কাছে যাই। তিনি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে পুনরায় অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানান। বিষয়টি কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান পর থেকে নানাভাবে হেনস্তা করতে থাকে। এক পর্যায়ে মানব সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা বলতে থাকে ‘আপনি গত বছরও চার মাস মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন এবং এই বছরও আবার ছুটি নেবেন, আপনি পদত্যাগপত্র দিয়ে বিদায় নিন। ’

ডলি আরও বলেন, আমি পদত্যাগ না করায় গত ৯ অক্টোবর সকালে মানব সম্পদ বিভাগে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তৎক্ষণাৎ পদত্যাগপত্র দিতে বলে, অন্যথায় টার্মিনেট করা হবে। এরপর আমি পদত্যাগ করবো না জানালে একটি চাকরিচ্যুতির নোটিশ ধরিয়ে দেয় ও তৎক্ষণাৎ কলেজ সংক্রান্ত সব কাগজপত্র কলেজ সেক্রেটারির কাছে বুঝিয়ে দিয়ে কলেজ হোস্টেল ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলে। আমার পরিবার ঢাকায় অবস্থান করে বিধায়, কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করি হোস্টেল ত্যাগের জন্য যেন সময় দেওয়া হয়। যাতে আমার স্বামী এসে আমাকে নিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমার কোনো কথা না শুনে ঐ দিনই রাত ১২ টার দিকে আমার আট মাস বয়সী বাচ্চাসহ কলেজ হোস্টেল থেকে বের করে নগরীর একটি হোটেলে রেখে আসে।  

কলেজটির অধ্যক্ষ নিয়োগ ও চাকরিচ্যুত করার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ নিয়োগ কমিটির অনুমোদন নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেটিও না মেনে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে অভিযোগ ডলি আক্তারের।

এদিকে, অধ্যক্ষ ডলিকে চাকরিচ্যুত করার কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি চাকরিচ্যুত করার নোটিশে। শুধু ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে অধ্যক্ষ ডলিকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মো. আরিফুর রহমান নোটিশে স্বাক্ষর করেন।

এ বিষয়ে জানতে মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান মো. আরিফুর রহমানের ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৪
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।