চট্টগ্রাম: প্রায় শতবছরের পুরোনো চন্দনাইশের বৈলতলী ইউনিয়নের ডেবারকূল মোহাম্মদ শাহ জামে মসজিদ। বছর কয়েক আগে প্রায় কোটি ব্যয়ে নতুন করে নির্মাণ করা মসজিদটি।
গ্রামবাসীরা জানান, মসজিদের দক্ষিণ পাশের সিসি ব্লক সরে গিয়ে নদীতে গভীরতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তীরে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। প্রতিনিয়ত নদীতে ধসে পড়ছে তীরের মাটি। শুধু মসজিদ নয় ভাঙনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে একটি মাদ্রাসা ও কবরস্থান। নদী ভাঙন রোধে প্রাথমিকভাবে সকলের সহযোগিতায় কাজ করা হয়েছে। কিন্তু এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান চান গ্রামবাসী।
মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য কে এম ইমরান বক্কর বাংলানিউজকে বলেন, এখনই ব্যবস্থা না নিলে আগামী বর্ষা মৌসুমে মসজিদটি বিলিন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কয়েকশো ব্যাগ নদীতে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এটি কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। আমরা চাই সরকার কোনো স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করুক।
প্রতিদিন ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালি উত্তোলণের কারণকেই দুষছেন তিনি।
কমিটির আরেক সদস্য নুরুল আলম জানান, এটি শত বছরের পুরোনো একটি মসজিদ। ভেঙে যাওয়ার আগে কাজ করতে না পারলে নদীতেই বিলিন হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী তয়ন কুমার ত্রিপুরা বাংলানিউজকে বলেন, নদী ভাঙনে একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে। সেটি আসলে কাজ শুরু হবে। এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি টিম নদীর পাড় পরিদর্শন করেছেন। প্রায় আড়াইশো মিটার এলাকা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চন্দনাইশের স্থানীয় সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, আমার এলাকায় অনেকগুলো মসজিদ রয়েছে। কোন মসজিদের কি সমস্যা তা তো আমার জানার সুযোগ নেই। আমার কাছে লিখিতভাবে জানানো হলে আমি ব্যবস্থা নিতে পারবো। কিন্তু এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেন নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২২
এমআর/টিসি