চট্টগ্রাম: সাধারণত মোটরসাইকেলে দুইজনের বেশি চলাচল করার সুযোগ নেই। এনিয়ে সিএমপির পক্ষ থেকেও রয়েছে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে এক নারী চালক তার স্কুটি চালিয়ে যাচ্ছেন।
মোটরযান আইন ১৯৮৮ (সংশোধনী) অনুসারে, চালক ও যাত্রী দুজনের মাথায় অবশ্যই হেলমেট থাকতে হবে। এছাড়া হাতে গ্লাভস ও পায়ে জুতা পড়ে তবেই চালকের আসনে বসতে হবে। আইনের ১৪০ ও ১৪৯ ধারা অনুসারে এই মামলা করা হয়, যেখানে ১৪০ ধারায় আদেশ অমান্য করার অভিযোগে মেট্রো এলাকায় ৪০০ টাকা আর জেলায় ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ১৪৯ ধারায় বলা হয়, নিরাপত্তাহীন অবস্থায় গাড়ি চালানোর অপরাধে মামলা করার বিধান রয়েছে। এই মামলায় মেট্রো এলাকায় ২৫০ টাকা ও জেলার ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হতে পারে।
যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে নারীরাও ঝুঁকছে স্কুটি ও মোটরসাইকেলের দিকে। স্বল্প সময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাতায়াত করা যায় বলে দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে রাইড শেয়ারিং সেবা। তবে সঠিক নিয়ম না মেনে রাইডিং করায় হরহামেশায় ঘটছে দুর্ঘটনা।
২০২০ সালে বুয়েটের এআরআই এর করা জরিপে দেখা যায়, ৫০ শতাংশ আরোহী চালকের গাড়ি চালানো নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। একই সংস্থার করা আরেক জরিপে এসেছে, চালকের ৩০ শতাংশ অতি নিম্নমানের হেলমেট পরেন। মাত্র ২ শতাংশ আরোহীদের ‘ফুলফেস’ হেলমেট দেওয়া হয়। তাদের পর্যবেক্ষণ বলছে, রাইড শেয়ারিং মোটরসাইকেল চালকদের প্রতিযোগিতা ও ফাঁক গলে আগে যাওয়ার প্রবণতা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
অন্যদিকে বেশিরভাগ তরুণ মোটরসাইকেল চালালেও ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ধারণা রাখেন না। তাই দুর্ঘটনার হার বাড়ছে।
পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বলছে, বেপরোয়া মোটরসাইকেলের গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই মোটরসাইকেল চালকদেরই সচেতন হাওয়ার তাগিদ দিচ্ছে পুলিশের এই বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২২
এসএস/এমআর/টিসি