চট্টগ্রাম: শীতের মৌসুম শেষের দিকে। নগরে গ্রীষ্মের আগমনী বার্তা।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরের ফিরিঙ্গীবাজার আড়তে ট্রাকবোঝাই তরমুজ নিয়ে আসার পর ব্যবসায়ীদের দরদাম করতে দেখা গেছে।
তবে এখনও প্রকৃতিতে শীতের আমেজ থাকায় দাম ও বিক্রি দুটিই কম বলে জানান তরমুজ বিক্রেতারা। চুক্তি অনুযায়ী আগাম তরমুজ চাষিদের কাছ থেকে কিনে আড়তে এনে লোকসানের শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
তারা বলছেন, গ্রীষ্মের রসালো তরমুজ এখনও বাজারে আসেনি, সেগুলো মিলবে আরো দেড় মাস পর, গ্রীষ্মকাল শুরু হলে। এখন যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো আগাম জাতের তরমুজ।
নগরের ফিরিঙ্গী বাজারে তরমুজ কিনতে আসা ইফতেখার সৈকত বাংলানিউজকে বলেন, নগরে এখনো শীত পড়ছে। এজন্য তরমুজ খাওয়া হচ্ছে না। তবে বৃদ্ধ মা তরমুজ খুব পছন্দ করেন। তাই কিনলাম। এবছর একটু আগেই বাজারে তরমুজ এসেছে।
পাইকারী তরমুজ ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আগাম জাতের তরমুজ চাষ করেছেন অনেক চাষি। আমরাও লাভের আশায় পাইকারী কিনে খুচরা বিক্রি করছি। তবে শীতের প্রভাব এখনও রয়ে গেছে। তেমন তরমুজ বিক্রি হচ্ছে না। গরম পড়লে তরমুজ বিক্রির আশা করছি।
জানা গেছে, আগাম জাতের কালা, বাংলালিংক, গ্রামীণ, আনারকলি, অলক্লিন, চায়না-২, এশিয়ান-২, বালিসহ বিভিন্ন জাতের তরমুজ বাজারে উঠতে শুরু করেছে। নোয়াখালীর সুবর্ণচর থেকে চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গী বাজার ফলের পাইকারী বাজারে আনা হচ্ছে এসব তরমুজ। কালো ও সাদা জাতের এই তরমুজ প্রতি একশটি আকার অনুযায়ী পাইকারী বাজারে ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
বিই/এসি/টিসি