চট্টগ্রাম: খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেছেন, চট্টগ্রামকে আমি মনে করি শুধু বাংলাদেশের না, এ উপমহাদেশের চিন্তার, আইডিয়ার সূতিকাগার। আমরা এখানে মাস্টারদা সূর্য সেনকে পেয়েছি, প্রীতিলতাকে পেয়েছি।
আমরা জানি, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু কিন্তু বিকেল বেলাতেই স্বাধীনতার ঘোষণা মোটামুটি ঘোষণা করে দিয়েছেন।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামে অমর একুশে বইমেলা মঞ্চে এক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক আদনান মান্নানের প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ ও নাগরিক সমাজের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত অমর একুশে বইমেলা আয়োজন করা হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, মেজর (অব.) রফিকের ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’ বইটা যখন পড়ি- তখন জানতে পারি প্রথম এখানে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। সিআরবিতে উনি সদর দফতর স্থাপন করেন। এটা কিন্তু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের লেখার মধ্যে আছে- শেখ হাসিনা যখন ছোট ছিলেন, শেখ রেহানা যখন ছোট ছিলেন, কামাল যখন ছোট ছিলেন। উনারা একবার এখানে বেড়াতে এসেছিলেন। আজিজ সাহেব ছিলেন এখানকার নেতা, হান্নান সাহেব ছিলেন। তারা একদিন পাহাড়ে বেড়াতে বেড়াতে বলেছিলেন- দেখো একদিন আমরা এখান থেকে স্বাধীনতা শুরু করবো। এটা কিন্তু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিকথার মধ্যে লিখেছেন। সব দিক থেকে আমি বলবো যে, চট্টগ্রাম হচ্ছে শিল্প, সংস্কৃতি, রাজনীতি, আদর্শবোধের সূতিকাগার।
তিনি বলেন, গানের ক্ষেত্রে চট্টগ্রামের অবদান কী- আমার প্রিয় শিল্পী তপন চৌধুরী, সুবীর কুমার, বিশ্বজিৎ, আইয়ুব বাচ্চু, নকীব খান, শেফালী ঘোষ, মাইজভাণ্ডারী গান এখন যে হাবিব শিরিনকে দিয়ে গাওয়াচ্ছে সবই চট্টগ্রামের। আলাউলের সেই কাব্য সেটা চট্টগ্রাম থেকে। গবেষক ছিলেন চট্টগ্রামের। এবার বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেলেন বিশ্বজিৎ চৌধুরী। তিনি খুব ভালো লেখেন, কবি ও কথাসাহিত্যিক। এর আগে একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন আবুল মোমেন, হরিশংকর জলদাস, রাশেদ রউফ অনেকে। চট্টগ্রামের লিটল ম্যাগ হতো, প্রকাশনা আমার খুব প্রিয় ছিল। কী অপূর্ব বই বেরিয়েছিল। সব মিলিয়ে চট্টগ্রামের দিকে আমরা এখনো তাকিয়ে আছি। চট্টগ্রাম বাংলাদেশকে এখনো দিশা দিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
এআর/টিসি