চট্টগ্রাম: কবি-কবিতা-আবৃত্তিকার-শ্রোতা - চারটি বিষয়ের সমন্বয়ে দেশের অন্যতম প্রধান আবৃত্তি ও মনন চর্চার সংগঠন উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জের নিয়মিত অনুষ্ঠান কবি ও কাব্যকথার সমন্বয়ের চতুর্দশ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত কবি ছিলেন রিজোয়ান মাহমুদ, এবার সাহিত্যে বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি বিশ্বজিৎ চৌধুরী ও ২০১৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কবি মারুফুল ইসলাম।
কবি রিজোয়ান মাহমুদ বলেন, কবিতা মূলত বোধ আর অভিজ্ঞতার স্বরলিপি। কবিতা মানে নিজের আবেগ অনুভূতির সঙ্গে সম্পর্কের সম্ভোগ।
কবি বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, কবিতা বেশ অভিমানী শিল্প। তাকে সমাদর না করলে, তার প্রতি অনুরাগ না থাকলে সে ধরা দেয় না। একটি শব্দ বা বাক্য কখন কীভাবে যেন করোটিতে আঘাত হানে, তারপর শরবিদ্ধ প্রাণীর মতো যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন কবি- পূর্ণাঙ্গ কবিতার জন্মের পর তার মুক্তি। এটাই কবির নিয়তি।
কবি মারুফুল ইসলাম তার লিখিত বার্তায় বলেন, ভাবনারা আসে, পেয়ে বসে, আবার ছেড়েও যায়। রূপ বদলায় অনুভূতি, পূর্ণ হতে হতে ভেঙে পড়ে। অভিজ্ঞতার দরজা খটখটায়। খনন করি স্মৃতি। অনুভব করি বক্ষ স্পন্দন।
উচ্চারক সভাপতি ফারুক তাহেরের সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি এএসএম এরফানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে কবিদের উপস্থিতিতে কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী অঞ্চল চৌধুরী, মিলি চৌধুরী, রেখা নাজনীন, বনকুসুম বড়ুয়া, সেঁজুতি দে, মামুনুল আমিন, সুমী সেন, সজল চৌধুরী, এএসএম এরফান, শাহ হোসাইন, শামীমা ইয়াছমিন, এ্যানি চৌধুরী, রীমা দাশ, মাহফুজা হক স্নিগ্ধা, সুপ্রিয়া চৌধুরী, ঐশী পাল, অনন্য দাশ, স্নিগ্ধা সিকদার, সোহান আল মাফী, জীবন বড়ুয়া, দিপা দাশ মিতু, পুণম দত্ত, ইকরা বিনতে বিল্লাহ, নাজিফা তাজনুর, রোকসানা আফরিন সিলভিয়া, স্বস্তিকা দাশগুপ্তা, মোহাম্মদ হামিদ, নোভা ধর ও অনুপম কুমার দাশ।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
এআর/টিসি