চট্টগ্রাম: থরে থরে সাজানো শত শত প্লাস্টিকের চেয়ার। যেখানে বসে আছেন গণটিকা নিতে আসা নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) গণটিকা কর্মসূচি চলাকালে কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক।
তিনি বলেন, এখানে ২৪ ও ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৯ হাজার মানুষকে গণটিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষই বেশি। আমরা চেয়েছি উন্নত বিশ্বের মতো টিকাদান কর্মসূচিকে আধুনিক রূপ দিতে। যেমন টিকা নিতে আসা নারী-পুরুষের বসার জন্য পর্যাপ্ত চেয়ার পেতে দেওয়া হয়েছে। সুন্দর পরিবেশে তারা টিকা নিয়েছেন। এটি একটি নতুন অভিজ্ঞতা।
নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের ১৫২টি কেন্দ্রে প্রায় ৩ লাখ টিকা দেওয়া হয় রোববার। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত একটানা এ কার্যক্রম চলে। গণটিকার আওতায় নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ১২ বছর এবং তদূর্ধ্ব জনসাধারণকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হয়। যার মধ্যে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের ফাইজার টিকা দেওয়া হয়েছে। অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রের পাশাপাশি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, সিটি করপোরেশন জেনারেল হাসপাতাল, মোস্তফা হাকিম কলেজ, রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বন্দর হাসপাতাল, জিইসি কনভেনশন হল, অফিসার্স ক্লাব-নেভাল অ্যাভিনিউ, এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ও আরাকান রোডের রোজ গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টার টিকা দেওয়া হয়।
মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহ ও আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে পদক্ষেপ নিয়েছেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন তাঁর সহযাত্রী। কোভিড-১৯ এর কারণে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো যখন তাদের নাগরিকদের প্রয়োজনীয় টিকার ব্যবস্থা করতে পারেনি। তখনই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশের সিংহভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনেন এবং ইতোমধ্যে যারা টিকা নেননি তাদের টিকার আওতায় আনার জন্যই সারাদেশে গণটিকার আয়োজন করেন। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফলতা।
সীকম গ্রুপের মালিকানাধীন সিটি হল কনভেনশন সেন্টারটি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে করোনা মহামারির শুরুতে দেওয়া হয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রথম ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারের জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১
এআর/টিসি