চট্টগ্রাম: মোহাম্মদ সাইফুল করিম। সড়ক দুর্ঘটনায় দুই পা হারিয়ে নগরের বায়েজিদ এলাকায় ভিক্ষা করেন।
সেই সঙ্গে কথা দিয়ে যান সেহেরি নিয়ে চিন্তা না করার। রাত ২টায় সেহেরির প্যাকেট হাতে পেয়ে আল্লাহ দরবারে দুই হাত তুলে দোয়া করেন সাইফুল করিম।
নগরের আগ্রাবাদ এলাকায় ছোট দুই বছরের বাচ্চা নিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের ইফতার আর সেহেরির অপেক্ষায় থাকেন মাজেদা বেগম। রমজানের শুরু থেকেই মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের ইফতার আর সেহেরি খেয়ে রোজা রাখছেন তিনি।
শুধু সাইফুল কিংবা মাজেদাই নন, এ রকম দুই হাজার অসহায়কে প্রতিদিন ইফতার আর সেহেরি দিয়ে যাচ্ছেন মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের ব্যানারে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
করোনা ভাইরাসের কারণে পুরো দুনিয়া যখন নিস্তব্ধ। ঠিক তখনই নগরের হাজারো মানুষকে খাদ্য আর চিকিৎসা সেবা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে সুনাম কুড়িয়েছিল মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশন। আর এ কাজের সার্বিক আঞ্জাম দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
করোনা পরিস্থিতিতে নগরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে করোনা প্রতিরোধক বুথ স্থাপন করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের ব্যানারে বাবর।
ছিন্নমূল ও অসহায়ের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেন বাবর। উপহার হিসেবে নগদ অর্থ আর নতুন জামা হাতে তুলে দেন শত শত ছিন্নমূল ও অসহায় পরিবারের মাঝে।
হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বাংলানিউজকে বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন অসহায় গরিব মানুষের বন্ধু। দেশের ক্রান্তিলগ্নে তিনি নিজের জীবন বাজি রেখে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। চট্টগ্রাম নগর নিয়ে তার স্বপ্ন ছিল। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আশাকরি একদিন তার স্বপ্ন পূরণ হবে।
নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও নগর যুবলীগ নেতা নুরুল আজিম রনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রতিদিন মহিউদ্দিন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে নগরের দুই হাজার অসহায় গরিব মানুষকে ইফতার ও সেহেরি দিচ্ছি। এ পর্যন্ত শুধু রমজানেই ২০ হাজার অসহায়কে ইফতার ও সেহেরি দিয়েছি। পুরো রমজান আমাদের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ১৫ এপ্রিল, ২০২২
বিই/টিসি