চট্টগ্রাম: সমাজসেবায় একুশ পদক পাওয়ায় বাংলাদেশি বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু মহামান্য সংঘরাজ ও চট্টগ্রাম বৌদ্ধবিহারের অধ্যক্ষ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবিরকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে নন্দনকাননের চট্টগ্রাম বৌদ্ধবিহারে এ গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।
উপসংঘরাজ ড. শীলানন্দ মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে সভায় অতিথি ছিলেন উপসংঘরাজ ধর্মপ্রিয় মহাস্থবির, প্রিয়দর্শী মহাস্থবির, শাসনপ্রিয় মহাস্থবির ও বুদ্ধ রক্ষিত মহাস্থবির। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার মহাসচিব ড. সংঘপ্রিয় মহাস্থবির।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি যুব ও উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন বৌদ্ধ সমিতির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান লায়ন আদর্শ কুমার বড়ুয়া, উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ইউএসটিসির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ডা. প্রভাত চন্দ্র বড়ুয়া, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি মিথুন রশ্নি বড়ুয়া, প্রধান সমন্বয়কারী টিংকু বড়ুয়া, সমন্বয়কারী প্রকৌশলী অসীম বড়ুয়া, বৌদ্ধ সমিতির যুব’র সভাপতি কর আইনজীবী জয়শান্ত বিকাশ বড়ুয়া, অর্থ সম্পাদক বিকাশ কান্তি বড়ুয়া, বৌদ্ধ সমিতি মহিলার সভাপতি পূরবী বড়ুয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির একজন সাংঘিক মহাপুরুষ। তিনি ৭০ বছরেরও বেশি সময় বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসারে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি সমাজ ও দেশের উন্নয়নে নানামুখী কাজ করছেন। পার্বত্য অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনি বৌদ্ধ বিহার, অনাথ আশ্রম গড়ে তুলে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে কাজ করছেন। বর্তমান সরকার তাঁর এই বহুমুখী কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ সমাজসেবায় একুশে পদকে ভূষিত করায় পুরো বৌদ্ধ সমাজকে কৃতার্থ করেছেন।
ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবিরের মতো এরূপ ক্ষণজন্মা মহাপুরুষের এই পদক প্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবিরের এ গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে শতাব্দীর ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির আয়োজনে এবং বিভিন্ন বৌদ্ধ ও যুব সংগঠনের সার্বিক সহযোগিতায় নন্দনকাননের চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে ১৮-২২ এপ্রিল ৫ দিনব্যাপী অভিধর্ম পিটকের পটঠান পাঠ অনুষ্ঠিত হয়। পটঠান পাঠ পরিচালনা করছেন উত্তর জলদী শ্মশানভূমি প্রজ্ঞাদর্শন মেডিটেশন সেন্টারের মহাপরিচালক জ্ঞানেন্দ্রিয় থের ও তাঁর শিষ্যমণ্ডলী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২২
এআর/টিসি