চট্টগ্রাম: হালদা নদীতে মা মাছ নমুনা ডিম ছাড়তে শুরু করেছে। বজ্রসহ বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল নামলেই শুরু হবে পুরোদমে ডিম ছাড়া।
সোমবার(১৬ মে) ভোরে বিভিন্ন স্থানে নমুনা ডিমের চেয়ে একটু বেশি ডিম ছেড়েছে মা মাছ।
ডিম সংগ্রহকারীরা জানান, তারা ২৫০ গ্রাম থেকে আধাকেজি পর্যন্ত নমুনা ডিম পেয়েছেন। বেশকিছু স্থানে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশের নমুনা ডিম পাওয়া যাচ্ছে। এরমধ্যে হাটহাজারীর রামদাস মুন্সিরহাট, মাছুয়াঘোনা, নাপিতের ঘাট, আমতুয়া, নয়াহাট, রাউজানের আজিমের ঘাট, খলিফারঘোনা এলাকায় ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম করে ডিম পাওয়া গেছে। জোয়ার ও ভাটার সময় নমুনা ডিম ছাড়ে মা মাছ।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার ভোরে ও এর আগে শনিবার রাতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ। এ সময় সাত থেকে আটটি নৌকায় অন্তত ১০ থেকে ১২ জন ডিম সংগ্রহকারী ২০০ গ্রাম থেকে ২৫০ গ্রাম করে নমুনা ডিম সংগ্রহ করেছেন।
স্থানীয় কামাল সওদাগর বাংলানিউজকে বলেন, বেশকিছু স্থানে নদীতে নমুনা ডিম ছেড়েছে মা মাছ। হ্যাচারিতে এসব ডিম কেউ কেউ নিয়ে সংগ্রহ করছেন।
হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার রাতে জোয়ারের পর থেকে মা মাছ নমুনা ডিম ছাড়া শুরু করেছে। রোববার ভোররাতে ভাটায়ও নমুনা ডিম পাওয়া গেছে। সোমবার ভোরে নমুনা ডিমের চেয়ে একটু বেশি ডিম ছেড়েছে। দুপুরের জোয়ার পর্যন্ত অপেক্ষা করলে বুঝা যাবে, নমুনা ডিম নাকি পুরোদমে ডিম ছাড়ছে মা মাছ। এছাড়াও বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢলের পরিবেশ হলে পুরোদমে ডিম দেবে মা মাছ। ডিম সংগ্রহের জন্য ৫০০টির বেশি নৌকায় ৭০০ থেকে ৮০০ ডিম সংগ্রহকারী প্রস্তুত আছেন।
হালদায় গতবার মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৫০০ কেজি। রেণু পোনা হয়েছিল ১০৫ কেজি। গতবার প্রজননের সময় ঘূর্ণিঝড় হওয়া এবং নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় ডিম কম ছেড়েছিল মা মাছ।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
বিই/এসি/টিসি