চট্টগ্রাম: আওয়ামী লীগকে লিমিটেড কোম্পানি না বানানোর আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদ হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি।
বুধবার (২৫ মে) দুপুরে নগরের কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দলে এনে কাউকে অপমান করার অধিকার কারও নেই মন্তব্য করে হুইপ স্বপন বলেন, শুধু আমি শুদ্ধ আর কেউ শুদ্ধ না-তাহলে একা হয়ে যাবেন। জনগণের ভোট ভালো লাগবে, ভোট পেতে হাতে পায়ে ধরবেন কিন্তু সাথে হাঁটতে চাইলে অপমান করবেন- তা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ৭৫ এর পরে অনেকে গর্তে লুকিয়ে ছিলেন। চট্টগ্রাম মহানগরে তখন কয়টা মানুষ আওয়ামী লীগ করত? একটা মানুষ বৈধপথে আয় করেছে, শিল্পপতি, ঠিকাদার, বিনিয়োগকারী, যে মানুষটি আয় করছেন তিনি যদি দেশপ্রেমিক হন তাহলে কেন তাকে দলে নেওয়া যাবে না? দেশের উন্নয়নে কী প্রাইভেট সেক্টরের অবদান নেই? শুধু ট্রাডিশনাল রাজনৈতিক কর্মীরা রাজনীতি করবেন বাকিরা করবে না? অনেক অপশক্তি সরকারকে উৎখাত করতে চায়। অন্য সব পেশার মানুষরা মিলে তো আমাদের উৎখাত করে দিবে। তাই ইনক্লুসিভ হতে হবে। অধ্যাপক থেকে সুইপার সবাইকে আনতে হবে। যদি সবার ভোট চাইতে পারি তাহলে কেন তাকে দলের সদস্য পদ দেব না। আমি আওয়ামী লীগকে ক্ষয়িষ্ণু দল হিসেবে দেখতে চাই না। জমিদারি প্রথা বন্ধ করুন ও অহঙ্কার বন্ধ করুন। আপনার ঘরে এসে পায়ে ধরে সদস্য হবে- এটা বন্ধ করুন। পাড়া ও মহল্লায় মাইকিং করে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে।
নগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে পালসটা বুঝার চেষ্টা করেছেন জানিয়ে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, দুই প্রাণের নেতাকে নিয়ে ঢাকায় বৈঠক করেছি। তৃণমূল থেকে শীর্ষ সবাইকে নিয়ে একটি সুন্দর সম্মেলন করতে একমত হয়েছি। যাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আনুগত্য রয়েছে তাদের জন্য আওয়ামী লীগের দরজা উন্মুক্ত করে দিব। ছোট পরিবার সুখী পরিবার করে বড় দল চলতে পারে না। আগতদের যারা কাউয়া-হাইব্রিড বলে বিতাড়িত করতে চায়, তারা দলকে সাধারণ মানুষ থেকে দূরে নিতে চায়। কেন শুধু নিজ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সারাজীবন দল চালিয়ে আওয়ামী লীগকে মুসলিম লীগে পরিণত করব?
তিনি আরও বলেন, মানুষ যাকে চায় জননেত্রী তাকে নেতা বানাবেন। ইউনিট বা তৃণমূলে নবীণ সদস্যরা নেতৃত্ব নির্বাচনে কী ভূমিকা রাখবে তা ঠিক করব। আগামী ১৫ জুনের মধ্যে ইউনিট আওয়ামী লীগের বিরোধের প্রতিবেদন ও ৩০ জুনের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করা হবে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে নগরের ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলন শেষ করতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। আমাদের সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলবে। ইউনিট কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আমাদের আরও কৌশলী হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২২
এমআই/টিসি