কলকাতা: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের, একই এলাকা থেকে ফের বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ জব্দ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
জব্দকৃত স্বর্ণের মূল্য ২ দশমিক ১৩ কোটি রুপির বেশি।
বিএসএফ জানিয়েছে, চোরাকারবারিরা এসব স্বর্ণ বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিল।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে বিএসএফ জানিয়েছে, প্রথম ঘটনায়, মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সীমা চৌকি অ্যাংরেল এলাকায় বিএসএফ-এর ৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের সদস্যরা দায়িত্বরত এলাকায় এক নারীকে হাতে ব্যাগ নিয়ে বর্ডার পার (ডমিনেশন লাইন) করে ভারতের দিকে আসতে দেখেন। সেসময় তারা ওই নারীকে থামতে বললে তিনি ভয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে বিএসএফ তাকে অটক করে
তল্লাশি চালালে তার ব্যাগ থেকে ১২টি স্বর্ণের বিস্কুট পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে নারীটি জানায়, তার রান্নাঘরের বাগানে আরও ১০টি বিস্কুট আছে। বাহিনীর তল্লাশিতে সবমিলিয়ে মোট ২২টি স্বর্ণের বিস্কুট জব্দ হয়। পরে গ্রেপ্তার করা হয় নারীটিকে। জেরা করায় তিনি জানিয়েছেন, তার নাম যশোদা শিকদার, তিনি উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটার ঘোসপাড়ার বাসিন্দা।
জিজ্ঞাসাবাদে নারীটি আরও জানায়, তিনি অন্যের ক্ষেতে মজুরির কাজ করেন। দিনে ১২০ রুপি আয় করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি আলু এবং সরিষা পাতা সংগ্রহ করতে মাঠে গিয়েছিলেন। মজনু নামে এক বাংলাদেশি তাকে একটি প্লাস্টিকের প্যাকেট দিয়ে বাসায় রাখতে বলেছিল। মজনু বলেছিল, যে আংরেল গ্রামের বাসিন্দা গোপাল মণ্ডলের ছেলে, কৃষ্ণপদ মণ্ডল এসে ওই প্যাকেট নিয়ে যাবে। কিন্তু, কেউ তা সংগ্রহ করতে আসেনি। দ্বিতীয়বার ওই বাংলাদেশি ব্যক্তির থেকে আরও একটি প্যাকেট সংগ্রহ করে, তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। তখন বিএসএফ সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন।
অপর একটি ঘটনায় সীমা চৌকি গোবর্ধা, ১০৭ ব্যাটালিয়নের, সদস্যরা তাদের দায়িত্ব এলাকা থেকে ৬টি স্বর্ণের বিস্কুটসহ এক চোরাকারবারিকে আটক করেছে। পাচারকারীর নাম সুজিত রায়, তিনি ওই জেলার, স্বরূপ নগরের নাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সবমিলিয়ে জব্দকৃত স্বর্ণ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি (জনসংযোগ) একে আর্য জানিয়েছেন, কুখ্যাত চোরাকারবারিরা গরিব ও নিরীহ মানুষকে অল্প পরিমাণ টাকার প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ সজাগ আছে এবং কঠোর পদক্ষেপ অবলম্বন করছে। সীমান্তে যেকোনো ধরনের চোরাচালান বন্ধে বিএসএফ সম্পূর্ণভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
এর আগে ২২ জানুয়ারি সীমান্তবর্তী একই এলাকা থেকে স্বর্ণ জব্দ করেছিল বিএসএফ। যার আনুমানিক মূল্য ছিল ৩ দশমিক ১০ কোটি রুপির বেশি। সেসব স্বর্ণ জব্দ করেছিল উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বিএসএফ এর ৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের সদস্যরা। সেসময় পাচারকারী সন্দেহে এক ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২৪
ভিএস/আরএ