কলকাতা: পাহাড়ে স্বায়ত্ব-শাসনের জন্য ত্রিপাক্ষিক চুক্তি শেষ পর্যন্ত রাজ্য ভাগের দিকে নিয়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গকে- এমনটাই মনে করছে রাজ্যের বিরোধী জোট বামফ্রন্ট। শনিবার বিকালে এ নিয়ে সিপিএমের রাজ্য কার্যালয় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ডা. সূর্র্যকান্ত মিশ্র।
এদিন তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘পাহাড় চুক্তিতে কি আছে তা বিরোধীদের জানানো হয় নি। সবাইকে অন্ধকারে রেখে এই চুক্তি করছে রাজ্য সরকার। কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও এর জন্য সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি করা হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলের নামকরণ নিয়েও কথা হতে পারত। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে কথা থাকবেই। রাজ্যের মধ্যে একটা আলাদা স্বশাসন। কাউন্সিল বা পর্ষদ নয় অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। মোর্চা বলছে এর ব্যাখ্যা দিচ্ছে এটা ‘একতলা’ হল। আগামী দিনে ‘দোতলা’ হবে অর্থাৎ পৃথক রাজ্য হবে গোর্খাল্যান্ড। ’
তিনি আরও বলেন, ‘তরাই-ডুর্য়াসের মৌজা অন্তর্ভুক্ত হলে সমস্যা হবেই। সেখানকার মানুষ প্রতিবাদ জানাবেই। এই চুক্তি নতুন করে সমস্যায় প্ররোচনা দেবে। তার দায় রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। ’
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত রাজের সাবেক পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং উত্তরবঙ্গের সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার জানুয়ারি মাস পর্যন্তও এই স্ট্যান্ড পয়েন্টে ছিল না। এখন কিভাবে তাদের স্ট্যান্ড পরিবর্তন করলেন তাতে আমি বিস্মিত। ’
বিরোধী দলনেতার মতে, ‘ভারতের দু’টি রাজ্যে একই আন্দোলন হচ্ছে। তেলেঙ্গানার দাবি দীর্ঘদিনের। ফলে এই আন্দোলন অন্যমাত্রা পাবে। ’
মুখ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে তারা সুকনাতে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন না বলেও এদিন জানিয়ে দেন ডা. সূর্যকান্ত মিশ্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১১