ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রোজার পণ্য আমদানি সহজ করার নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
রোজার পণ্য আমদানি সহজ করার নির্দেশ

ঢাকা: রোজায় ব্যবহৃত পণ্য ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেয়াজ, মসলা, চিনি এবং খেজুরের সরবারহ বৃদ্ধি ও মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ঋণপত্র (এলসি) খোলা সহজ ও নগদ মার্জিন হার কমিয়ে আনতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রোববার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সার্কুলার জারি করে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ঈদকে সামনে করে বাজারে যাতে পণ্যের সরবারহ বৃদ্ধি এবং দাম সহনীয় থাকে এর জন্য ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে নগদ মার্জিনের হার ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে। যাতে ঋণপত্র খোলা সহজ ও ব্যয় কমে আসে। বাজারমূল্যে স্থিতিশীল থাকে এবং বাজারে রোজায় ব্যবহৃত এ সব পণ্যে যথেষ্ট সরবারহ থাকে।

এর বাইরে আগে জারিকৃত সার্কুলারে অন্যান্য পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে উল্লেখিত শর্ত ও নির্দেশনা বহাল থাকবে।

রোজায় ব্যবহৃত ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পেয়াজ, মসলা, চিনি এবং খেজুরের মূল্য সহনীয় রাখতে ঋণপত্র খুলতে নগদ মার্জিন কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির কারণে দেশে দেশে খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্যের আমদানি বিাড়াতে হচ্ছে। এতে দামও বেড়েছে। আগামী রোজাতে যাতে বাজারে খাদ্য থাকে, মানুষের কষ্ট না হয়, এ জন্য আগে থেকে সরকার বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, এ সার্কুলার তারই অংশ।     

রমজান মাসে এ সব পণ্যের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, যাতে বাজারে সরবারহ সুষম থাকে, দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং মানুষের মাঝে কোনো ধরনের উদ্বিঘ্নতা  তৈরি না হয়-এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এ সার্কুলার দিয়েছে বলে মনে করেন অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আগে এ সব পণ্যে মার্জিন না থাকলেও কখনও কখেনও কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে ব্যাংক মার্জিন রেখেছে। সম্পর্কের কারণেই এটা রেখেছে। যাতে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের মধ্যে থেকে ন্যূনতম মার্জিন রেখে বা সম্পর্কের ভিত্তিতে যেটা সুবিধাজনক সেটাই করে, ব্যাংককে স্মরণ করিয়ে দিতে এ সার্কুলার কাজে লাগবে, তিনি উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে খাদ্যপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান টিকে গ্রুপের পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, স্বনামধন্য আমদানিকারকদের এসব পণ্য আমদানিতে কখনোই নগদ মার্জিন দিতে হয় না। রোজায় ব্যবহৃত পণ্যও নিশ্চয় একইভাবে আমদানি করবে।

তাহলে খাদ্য আমদানিতে নতুন আমদানিকারককে উৎসাহিত করতে এ ধরনের সার্কুলার কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সেটা তো যে কেউ করতে পারে।

  বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২২
জেডএ/এসএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।