ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাঁচ মাসে ১২ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২২
পাঁচ মাসে ১২ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ

ঢাকা: চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর- এই পাঁচ মাসে ১২ হাজার ৭৭৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করেছে দেশের ৫৬ বাণিজ্যিক ব্যাংক, যা লক্ষ্যমাত্রার ৪১ শতাংশ। চলতি বছরের কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা।

পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংক পাঁচ মাসেই পুরো বছরের লক্ষ্য পূরণ করেছে। আর দুই ব্যাংক ঋণ বিতরণ শুরুই করতে পারেনি। এই তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের। চলতি সপ্তাহে কৃষিঋণের এই প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

পাঁচ মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত খাতের আট বাণিজ্যিক ব্যাংক বিতরণ করেছে পাঁচ হাজার ৫৯ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ৪৩ শতাংশ। আর দেশি-বিদেশি ৪৮ বাণিজ্যিক ব্যাংক বিতরণ করেছে সাত হাজার ৭১৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মোট বিতরণ করা ঋণের ২ শতাংশ কৃষিঋণ হিসাবে বিতরণ করে থাকে। মোট বিতরণ করা ঋণের লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে কৃষি ঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়। সেই হিসাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর লক্ষ্যমাত্রা ১১ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর লক্ষ্যমাত্রা ১৯ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা।         

বছর শেষে যেসব ব্যাংক কৃষিঋণ বিতরণে লক্ষ্য পূরণ করতে পারে না, বাংলাদেশ ব্যাংকে সেসব ব্যাংকের থাকা কারেন্ট  অ্যাকাউন্ট থেকে অনর্জিত লক্ষ্যের সমপরিমাণ টাকা কেটে রাখা হয়। পরের বছর লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত টাকা কৃষকদের মাঝে বিতরণ করতে পারলে আগের বছরের কেটে রাখা টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

সোমবার অনর্জিত কৃষিঋণের সমপরিমাণ টাকা দিয়ে একটি তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যে ব্যাংকের অনর্জিত লক্ষ্যমাত্রার অর্থ নেওয়া হবে, ওই ব্যাংককে ২ শতাংশ হারে সুদ দেওয়া হবে। এই তহবিল থেকে কৃষকদের মাঝে ৮ শতাংশ হারে ঋণ বিতরণ করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, পল্লী অঞ্চলে যেসব ব্যাংকের শাখা নেই, সেসব ব্যাংক এমআরএ অনুমোদিত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ সংস্থার (এনজিও) মাধ্যমে বিতরণ করবে। সেক্ষেত্রে গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার এমআরএ নির্ধারিত সুদ হার ২২ শতাংশ পর্যন্ত রাখতে পারে। মোট কৃষি ঋণের দুই-তৃতীয়াংশ ঋণের বেশি বিতরণ করা হয় এনজিওর মাধ্যমে।

জুলাই-নভেম্বর পাঁচ মাসে কৃষি ঋণ বিতরণের কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা হলো মোট ঋণের ৪১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সেই হিসাবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণের গড় লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। তবে একক ব্যাংক হিসাবে ২৬ ব্যাংক লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। বিদেশি দুই ব্যাংক কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন ও উরি ব্যাংক পাঁচ মাসেও কৃষি ঋণ বিতরণ শুরু করতে পারেনি।

আবার ৩০ বাণিজিক ব্যাংক লক্ষ্যপূরণ করেছে। আর ছয় ব্যাংক পাঁচ মাসে পুরো বছরের লক্ষ্য অতিক্রম করেছে। অতিরিক্ত ঋণ বিতরণ করা ব্যাংকগুলো হলো বিদেশি ব্যাংক আল ফালাহ, হাবিব ব্যাংক ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, বেসরকারি ঢাকা ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও সীমান্ত ব্যাংক।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২২
জেডএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।