ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিনিয়োগে নতুন মাত্রা দেবে বিজনেস সামিট

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
বিনিয়োগে নতুন মাত্রা দেবে বিজনেস সামিট ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন | ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে আগামী মার্চে অনুষ্ঠেয় বিজনেস ‘সামিট-২০২৩’ দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশের বিনিয়োগ লাভজনক ও নিরাপদ; বিজনেস সামিট সেটাকে নতুন মাত্রা দেবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের যে সম্ভাবনা রয়েছে, এটা পৃথিবীর অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে অনেক বেশি। এখানে শ্রমিকের মজুরি কম। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের মতো সুবিধা খুব কম দেশেই আছে।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থেকে আগত অতিথিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ড. মোমেন বলেন, আপনারা দেখেছেন গত এক দশকে আমাদের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি কীভাবে হয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সবেচেয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছি। আমাদের এখানে বিনিয়োগ লাভজনক এবং নিরাপদ।



অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমাদের ১০০টি বিশেষাতি ইকোনোমিক জোন রয়েছে, অনেকগুলো ইকোনোমিক জোন চালু হয়েছে। বাংলাদশের ব্যবসার যে সম্ভাবনা সেটা জানানোর জন্য বিজনেস সামিট হচ্ছে। এফবিসিসিআই একটি দারুণ উদ্যোগ নিয়েছে। আমারদের দেশের ব্যবসার পরিধি আরও বড় করতে বিজনেস সামিট উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর-এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, বাঙলাদেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দেশের বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়াতে যে বিজনেস সামিট করতে যাচ্ছে তা বিনিয়োগের নতুন দুয়ার খুলেবে। বাংলাদেশের বিনিয়োগের অনুকূল পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সুবিধা পাবেন বিনিয়োগকারীরা।

এফবিসিসিআই-এর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, আমি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ব্যবসা করছি। কিছুদিন আগে হাইতিতে গিয়েছি, সেখানে আমাকে সব সুবিধা দেওয়া হলো। কিন্তু আমার যে পার্টনার তাকে বললাম আমার বিনিয়োগের নিশ্চয়তা কে দেবে? তখন সে এটা বলতে পারলো না। ফলে যে বিনিয়োগ করেছিলাম সেটা নিয়ে এসেছি।

বাংলাদেশের বিনিয়োগে রিস্ক নেই জানিয়ে এ কে আজাদ বলেন, আমাদের দেশে বিনিয়োগ নিরাপদ। রাজনৈতিক সংকট নেই। আমাদের যে লোকবল আছে, সেটা অতন্ত্য কমমূল্যে পাওয়া যায়। এছাড়া সব সুবিধা পর্যাপ্ত। ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেক বেশি নিরাপদ।

অনুষ্ঠানে বিজনেস সামিটের সার সংক্ষেপ উপস্থাপন করেন অর্থনীতিবিদ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাশরুর রিয়াজ। উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি এম এ মোমেন, সালাউদ্দিন আলমগীর, পরিচালক সৈয়দ সাদাত আলমাস কবির, আনোয়ার উল-আলম চৌধুরী, আবুল কাসেম খান, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক ও বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ী ও কূটনীতিকরা।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সিএনএনের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করেছে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। এই চুক্তির আওতায় চলতি বছরের ১১-১৩ মার্চ অনুষ্ঠেয় ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’ অনুষ্ঠানের জন্য বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে ব্র্যান্ডিং করবে আন্তর্জাতিক এই গণমাধ্যম। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ–সম্ভাবনা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রচারণা চালাবে সিএনএন।

সিএনএনের সঙ্গে হওয়া ওই সমঝোতা চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। সিএনএনের পক্ষে সই করেন চ্যানেলটির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক (বিক্রি) অভিজিৎ ধর। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ-বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২৩
এসআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।