ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জাপানি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ আকর্ষণীয়

সিনিয়র করেসপেন্ডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
জাপানি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ আকর্ষণীয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক বিজনেস সামিটে জাপান-বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সংক্রান্ত সেশন | ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: কর্মক্ষম জনশক্তি, বিস্তৃত বাজার ও মানুষের আন্তরিকতার কারণে জাপানের বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ উপযুক্ত বলে মনে করছেন জাপানি উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী নেতা ও কূটনীতিকরা।

রোববার (১২ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক বিজনেস সামিটে ‘জাপান-বাংলাশে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট: অপোর্চুনিটিস ইন অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক সেশনে তারা এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অথিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সেশনে সূচনা বক্তব্য রাখেন বিডার নির্বাহী পরিচালক লোকমান হোসেন। আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশে এসইজেড-এর তারু কায়াচি, আসিয়ানের আঞ্চলিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টাকেশি মায়িও প্রমুখ।

প্যানেল আলোচক ছিলেন, এফবিসিআই-এর উপদেষ্টা আব্দুল হক, বাংলাদেশি উদ্যোক্তা মেহেদী হাসান, মিৎস্যুবিসু কর্পোরেশনের ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার মিয়ং হো লি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ঐতিহাসিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতায় জাপান বাংলাদেশের এক পরীক্ষিত বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী। জাপান উৎপাদনে, যোগাযোগে, অবকাঠামো, ট্রেডিং, আর্থিক খাত, বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগ করেছে। যুব শ্রমশক্তি, ভৌগলিক অবস্থান সব দিক থেকে বাংলাদেশ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য এক অনন্য দেশে। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সরকার সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করেছে, এ সুযোগ নিয়ে জাপান বিভিন্ন খাতে আরও বিনিয়োগ বাড়াতে পারে।

জাপানি উদ্যোক্তারা বলেন, আস্থা ও পারস্পরিক বিশ্বাস ও নির্ভরতার কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ছে। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক শিল্পের ৮০ ভাগ হাই-ইফেক্টিভ টেকনোলোজি সল্যুয়েশনে সরবরাহ করে থাকে। ট্রেডিং, উৎপাদনে, প্রযুক্তি, অবাকাঠামো ও মেট্রোরেল, টার্মিনালের মতো বৃহৎ প্রকল্পে উন্নয়ন সহযোগী।

বক্তারা আরও বলেন, জাপান এতদিন বাংলাদেশের ডিজিটাল অভীষ্ট উন্নয়ন সহযোগী হয়েছে। আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করবে। ২০৪১ সালে উচ্চ আয়ের বাংলাদেশ গঠনে কাজ করবে। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে যথেষ্ট আন্তরিক। বিশেষ করে বিডা বিদেশি বিনিয়োগকারীর সমস্যা সমাধানে সচেতনভাবে কাজ করছে। তবে এখনো ব্যবসা-প্রশাসনে কিছু সমস্যা রয়েছে, যা ব্যবসা বিনিয়োগের জন্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। সেগুলো দূর দূর করার জন্য সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে।

এফবিসিসিআইয়র উপদেষ্টা আব্দুল হক বলেন, জাপানি বিনিয়োগ অব্যাহত আছে। তারা বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে। তবে ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যে সব প্রতিবন্ধকতা আছে সেগুলো নিয়ে জাপানিদের শঙ্কা আছে। এ সমস্যা শুধু দূর করতে পারলে শুধু জাপানি বিনিয়োগ বাড়বে, এমন না বাংলাদেশের বিনিয়োগও বাড়বে। বিনিয়োগ বাড়াতে হলে  সরকরকে এগুলো পরিবর্তন করে বিদেশি বিনিয়োগ বান্ধব করতে হবে। মন্ত্রণালয়, ব্যবসা-প্রশাসন, দুর্নীতি দমন, সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশ যেভাবে করেছে, আমরা সেভাবে করতে পারিনি, পিছিয়ে আছি। জাপান ব্যবসা বাণিজ্যে যে ধরনের সংস্কৃতি তৈরি করতে পেরেছে, আমাদেরও সে পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে, যাতে আরও বেশি বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আসতে পারে।

মেহেদী হাসান বলেন, জাপানি পণ্য, সেবা ও মানে আস্থা তৈরি হয়েছে। জাপানি পণ্য বললেই মানুষ বোঝে, এ পণ্য গুণে মানে ভালো। এই আস্থা বাংলাদেশের বাজারে স্থান করে নিচ্ছে জাপানি পণ্য। এই আস্থা বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও পথ সহজ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।