ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দিনাজপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে রসুনের দাম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
দিনাজপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে রসুনের দাম

দিনাজপুর: দিনাজপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে জাত ভেদে প্রতি কেজি রসুনের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। শুধু রসুনেরই নয়, দাম বেড়েছে আদা এবং আলুরও।

তবে কিছুটা দাম কমেছে পেঁয়াজের।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দিনাজপুর শহরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার বাহাদুর বাজারে গিয়ে রসুন, আদা ও আলুর দাম বাড়া লক্ষ্য করা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। আর দাম বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।

বাহাদুর বাজারের মা মার্কেটের বিক্রেতা মাসুদ ইসলাম বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে জাত ভেদে রসুনের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি করছি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এখন বিক্রি করতেছি প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা। রসুনের চাহিদা বেশি আর সরবরাহ কম। তাই দাম বাড়ছে। আলুতেও দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে ১৪ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি।

রসুন বিক্রেতা ফয়জুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিনের ব্যবধানে রসুন ও আদার দাম বেড়েছে। আগে তো ভালো মানের রসুন ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করেছি। সেই রসুন আজকে ১০০ টাকা। যেগুলো একটু আকারে ছোট সেগুলো ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন রসুন উঠতেছে কিন্তু সরবরাহ কম। বাইরের ক্রেতারা এই রসুন বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের বেশি দাম দিয়ে কিনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। গত সপ্তাহের চেয়ে আদার দামও বেড়েছে জাত ভেদে কেজি প্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত। গত সপ্তাহে আদা বিক্রি করেছি প্রতি কেজি ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা। বর্তমানে সেই আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত।  

বাহাদুর বাজারের পাইকারি রসুন বিক্রেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহে রসুন পাইকারি বিক্রি করেছি প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বর্তমানে বিক্রি করছি ৮০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত। সপ্তাহের ব্যবধানে হঠাৎ করে এত দাম বৃদ্ধি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন নতুন রসুন পুরোপুরিভাবে উঠতে শুরু করেনি। সরবরাহ কম আর ক্রেতা বেশি। বাইরে থেকেও অনেক পাইকারি ক্রেতারা রসুন কিনে অন্য জেলাগুলোতে নিয়ে যাচ্ছে। আর এবার রসুনের চাষও কম হয়েছে। গত দুই বছর থেকে সাধারণ রসুন চাষিদের লোকসান হয়েছে। এজন্যই দাম বাড়তেছে।

হঠাৎ করে এমন দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ ক্রেতারা। বাজার মনিটরিংয়ের দাবিও জানান তারা। কথা হলে ৪ নম্বর শেখপুরা ইউনিয়নের রাজারামপুর থেকে বাহাদুর বাজারে রসুন কিনতে আসা আমিনা বেগম বলেন, রমজানের শুরুতে রসুন কিনছিলাম ৫০ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে কিনলাম ৭০ টাকা আর আজকে সেই রসুন কিনতে হলো ১০০ টাকা। এভাবে যদি দিন দিন দাম বাড়ে তাহলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের কষ্টের শেষ থাকবে না।

শহরের গোলাপবাগ থেকে আসা মকবুল হোসেন বলেন, দেখতে দেখতে রসুনের দাম কোথায় থেকে কোথায় চলে গেল। রমজানের শুরুতে যে দাম ছিল তার দ্বিগুণ দামে আজকে রসুন বিক্রি হচ্ছে। এখন তো নতুন রসুন উঠতেছে। এখনই ১০০ টাকা দিয়ে যদি রসুন কিনে খেতে হয় তাহলে আর কয়েকদিন পর যে কত টাকা কেজি রসুন খেতে হবে কে জানে। বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে বেশি বেশি। তাহলে কিছুটা হলেও দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

তবে রসুন, আদা বা আলুর দাম বাড়লেও কেজিপ্রতি ৫ থেকে ৮ টাকা দাম কেমেছে পেঁয়াজের। গত সপ্তাহে জাত ভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৭ টাকা পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।