ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মাদারীপুরে জমে উঠেছে আমের বাজার

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২৩
মাদারীপুরে জমে উঠেছে আমের বাজার

মাদারীপুর: মৌসুমের সবচেয়ে লোভনীয় ফল আম, জাম, কাঁঠাল ও লিচুতে জমে উঠেছে হাট-বাজার। দোকানগুলোতে দেদাড়ছে বিক্রি হচ্ছে নানা জাতের আম।

কয়েক সপ্তাহ আগে থেকেই বাজারে আম উঠলেও গত কয়েকদিন ধরে দোকানগুলোতে নানা জাতের আম পাওয়া যাচ্ছে।  

রাজশাহী, সাতক্ষীরা থেকে আসা নানা জাতের আম পাওয়া যাচ্ছে দোকানে। দাম সহনীয় হওয়ায় ক্রেতারাও কিনছেন প্রচুর। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত আমও বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। মাদারীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে গত কয়েক বছর ধরে আম্রপালিসহ বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হচ্ছে।  

গ্রামের বাজারগুলোতে স্থানীয় গাছের আমের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। গাছ থেকে সরাসরি বাজারে এনে বিক্রি করায় ক্রেতারাও স্বাচ্ছন্দে কিনছেন।  

ক্রেতারা বলছেন, এলাকার বিভিন্ন বাগানের আম পাকানোর জন্য কোনো ওষুধ দেওয়া হয় না। সম্পূর্ণ কেমিক্যালমুক্ত। আর দামেও কিছুটা কম। একারণেই এই আমের চাহিদা রয়েছে।

মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিজ বাগান থেকে আম পেড়ে বাজারে নিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। বাজারে খুচরা বিক্রি করছেন আম। প্রতিদিনই পাকা আম বাজারে আনছেন, বিক্রি করছেন। এরা মূলত আম ব্যবসায়ী নন। নিজেদের শখের বাগানে উৎপাদিত আম প্রতি মৌসুমেই বাজারে বিক্রি করছেন। স্থানীয়ভাবে করা বাগানের বাইরেও নিজ বাড়ির গাছের আমও বাজারে বিক্রি হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। এসব আমে সাধারণত পাকানোর জন্য কোনো কেমিক্যাল না দেওয়ায় অনেকেই কিনে থাকেন দেশীয় গাছের আম। এছাড়া বাজারে বর্তমানে সাতক্ষীরার গোপালভোগ আমে রয়েছে প্রচুর। বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি। ল্যাংড়া, আম্রপালি আমও রয়েছে। যা ৫০-৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি। এছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন বাগানের আম কেজি প্রতি ৪০-৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।  

জেলার শিবচরের খাড়াকান্দি এলাকার ফররুখ হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, আমার একখণ্ড পতিত জমিতে কিছু আম গাছ লাগিয়েছিলাম। প্রতি বছরই প্রচুর আম ধরে। যত্ন করলে ভালো আম পাওয়া যায়। বেশ মিষ্টিও। নিজেদের চাহিদা মেটানোর পরও বাজারে বিক্রি করা যাচ্ছে। অনেকে বাগানে এসে আম নিয়ে থাকেন।

তিনি আরও বলেন, ইদানিং গ্রামে এ ধরনের ছোট ছোট অসংখ্য বাগান দেখা যাচ্ছে। বাড়িতেও মানুষ নানা জাতের আম গাছ লাগাচ্ছে। বেশ মিষ্টি আম পাওয়া যাচ্ছে স্থানীয় এসব গাছ থেকেও। স্থানীয় বাজারে চাহিদাও বাড়ছে এসব আমের।

এদিকে, আম ব্যবসায়ী আবুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, এখন আমের সিজন। বাজারে প্রচুর আম রয়েছে। দামও তুলনামূলক কম। প্রতিদিন বিক্রিও হচ্ছে বেশ। সাতক্ষীরা, রাজশাহী, মেহেরপুর থেকে আমরা আম এনে বিক্রি করছি। এর পাশাপাশি স্থানীয় বাগানের আমও পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় বাগানের আমে অনেক সময় পোকা পাওয়া যায় বিধায় কিছুটা কম বিক্রি হয়। তবে আগের তুলনায় স্থানীয় বাগানের আম বেশি বিক্রি হচ্ছে।

মানুষের আগ্রহের জায়গা থেকে জেলায় ব্যক্তি পর্যায়ে গড়ে উঠছে ছোট ছোট আমের বাগান। মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় বাজারে রাজশাহীর স্বনামধন্য আমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রিও হচ্ছে অনেক। উপার্জনের একটি বাড়তি ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে অনেকের। সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে দেশীয় আমের ফলন ও মান বাড়বে বলেও জানান জেলার কৃষি বিভাগ।  

এদিকে হাট-বাজারে আমের দাম কম থাকায় খুশি স্বল্প আয়ের মানুষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।