ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ পৌষ ১৪৩১, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬ রজব ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০২৩-২৪ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন ডলার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
২০২৩-২৪ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন ডলার

ঢাকা: ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৭২ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে সরকার। এরমধ্যে পণ্য খাতে ৬২ বিলিয়ন ডলার এবং সেবা খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার।

এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।

বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকের এ তথ্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, মানুষ তো আশা নিয়ে বাঁচে। বৈশ্বিক প্রতিকূলতার পরও ভালো রেজাল্ট এসেছে। গত বছর কিন্তু গ্যাসের সমস্যা হয়েছে, গ্যাসের দাম বেড়েছে, এমন সমস্যার পরও ভালো অর্জন হয়েছে। আমরা গত বছরের টার্গেট অ্যাচিভ করতে না পারলেও তার আগের বছরের চেয়ে বেশি অর্জন হয়েছে।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রাখা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন এলে খাওয়া তো বন্ধ হবে না। এটি স্বভাবিক প্রক্রিয়া। নির্বাচন এলে সব বন্ধ থাকবে না। তবে শুধু খবর রাখবেন আগুন টাগুন না দেয়।

প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৮ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে পাঁচ হাজার ৫৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছিল। সে হিসেবে ৬.৬৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হলেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আড়াই বিলিয়ন ডলার পিছিয়েছিল রপ্তানি আয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৫.৫৬ বিলিয়ন ডলার অর্জিত হয়েছে, যেটি আগের বছরের চেয়ে ৬.৭ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাকে প্রায় ১০ ভাগ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। নিট পণ্যে একটু বেশি। কিন্তু চামড়াসহ অন্যান্য খাতে কিছু ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হওয়ায় সামগ্রিক ৬.৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আমরা যদি বৈশ্বিক আমাদের রপ্তানির ডেস্টিনেশন লক্ষ্য করি তাহলে দেখা যাবে আমেরিকা এবং ইউরোপের মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের পণ্যের চাহিদা কমে গেছে।

তিনি বলেন, নভেম্বর থেকে হয়তো বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি কমে আসবে, ফলে নভেম্বর থেকে সারা বিশ্বব্যাপী আমাদের চাহিদা বাড়বে। তার প্রেক্ষিতে আমরা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। আমরা দেখেছি, আমেরিকা এবং জার্মানিতে চাহিদা কমে গেলেও অন্যান্য দেশে আমাদের প্রবৃদ্ধি ভালো।

সচিব বলেন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ভারত ও দক্ষিণ করিয়ায় প্রবৃদ্ধি অনেক ভালো হয়েছে এবার। এশিয়ার মধ্যে ভারত আমাদের সবচেয়ে বড় রপ্তানির দেশ, দ্বিতীয় হচ্ছে জাপান। দক্ষিণ কোরিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় ভালো রপ্তানি হয়েছে। আমরা যে গন্তব্য বহুমুখী করার কথা বলতাম, সেটির কিন্তু প্রতিফল দেখা যাচ্ছে। কিন্তু পণ্যের যে বহুমুখীর কথা বলা হয়েছে, সেটি আদৌ হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৩
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।