বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, আমার যতদূর ধারণা, ১৯৮১ সালের ১৭ মে আপনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন। ১৯৮১-৮২ সালে মতিঝিলের ইডেন হোটেলে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করতেন।
এত দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে আর কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকেননি। আজকে পৃথিবীতে ১০ জন রাষ্ট্রনায়কের মধ্যে আপনি একজন। এটা আমাদের গর্বের জায়গা তৈরি করেছে। আপনি কী এমন জাদু জানেন ইন্দো-প্যাসিফিকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হলো বাংলাদেশ। এত গুরুত্বপূর্ণ দেশ হয়ে উঠল কেন এ অঞ্চলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাশিয়া, চীন আপনার ওপর আস্থা রাখে।
গতকাল দেখলাম ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আমেরিকার আন্ডার-সেক্রেটারি উজরা জেয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তাঁরা তাতেই সমর্থন জানাবেন। আগামী নির্বাচনে কোনো সমস্যা নেই। আগামী নির্বাচন আপনার নেতৃত্বে অবাধ এবং সুষ্ঠু হবে এটাই প্রত্যাশা। আজকে আমরা সবাই চাই আপনি আবার প্রধানমন্ত্রী হোন। এখানে বসে চাইলে কি হবে আপনি সালমান এফ রহমানকে দায়িত্ব দিন, মো. জসিম উদ্দিনকে দায়িত্ব দিন। আমরা ৬৪ জেলায় ব্যবসায়ী সম্মেলন করতে চাই। দেশের অবস্থাটা মানুষকে বোঝাতে চাই। এত উন্নয়ন করেছেন। পৃথিবীর মানুষ আপনার দিকে তাকিয়ে আছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আপনার সঙ্গে কথা বলেন। বাংলাদেশে এসে কথা বলেন। এটা কি সাধারণ মানুষ জানে পদ্মা সেতু হয়েছে। আমরা নরসিংদীর মানুষ তো পদ্মা সেতুতে উঠি না। টানেল তৈরি করছেন। যারা বাইরে যায় না, তারা তো দেখে না। তাই এগুলো বলতে হবে, জানাতে হবে। আপনি ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিভাবক। আমার মনে আছে, ৫ মে যখন হেফাজতে ইসলামের লোকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দোকানগুলো ভেঙে দিয়েছিল, পুড়িয়ে দিয়েছিল, তখন ৩৩৩ জনকে আপনি সাহায্য করেছেন। অনেকে বলেছেন, ক্ষতির পরিমাণ ২০-২৫ হাজার টাকা। আপনি ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্য দিয়েছেন। আমি বলেছিলাম, এত টাকার প্রয়োজন কী আপনি ধমক দিয়ে বলেছিলেন, তোমার সমস্যা কী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বাড়িয়ে দাও।
এখনো কিছু সমস্যা আমাদের আছে। ভোগ্যপণ্য নিয়ে মানুষ কষ্ট করে। ভোগ্যপণ্যের দাম খুব বেশি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনি, মাঝেমধ্যে লাফ দেয়। ভোগ্যপণ্যের মূল্যে যদি কিছুটা নজর দেওয়া যায়। বাণিজ্যমন্ত্রী, সচিব চেষ্টা করছেন। কিন্তু চেষ্টা করলেও লাভটা কী ১০টা পণ্য ১০টা মন্ত্রণালয়ের অধীনে। একেক মন্ত্রণালয় একেকটি পণ্য নিয়ে বসে আছে। আমি অনুরোধ করব এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে ভোগ্যপণ্যের জন্য আলাদা একটি মন্ত্রণালয় করার ঘোষণা দিন। অথবা একটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভোগ্যপণ্য নিয়ে আসুন। আমরা যেটুকু চাল, সবজি, মাছ খাই, সেটা উৎপাদন করতে পারি। এ জায়গা ছাড়া সবকিছুতে সারা দেশের মানুষ আপনার ওপর সন্তুষ্ট। করোনা মহামারির সময় আপনি যেভাবে দোকানপাট খুলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বাঁচিয়ে ছিলেন, সেজন্য সারা দেশের অর্থনীতি আজ গতিশীল। যতদিন আপনি থাকবেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আপনার সঙ্গে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
এসআইএস