ঠাকুরগাঁও: অবশেষে ২১ বছর পর চালু হয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের রেশম কারখানা। যার নতুন নাম দেওয়া হয়েছে সুপ্রিয় রেশম কারখানা।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে কারখানার উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।
সুপ্রিয় গ্রুপের চেয়ারম্যান বাবলুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় আলোচনা সভা হয়। যাতে উপস্থিত ছিলেন-ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী, সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট অরুনাংশু দত্ত টিটো, আঞ্চলিক রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাহবুব উল হক, চেম্বার অব কমার্সের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোদ্দাচ্ছের হোসেন, জেলা ব্যবসায়ী কল্যাণ সোসাইটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মামুন অর রশিদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলীসহ অনেকে।
গত দুই মাস আগে রেশম বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে কারখানাটি লিজ নেয় সুপ্রিয় গ্রুপ। রেশম উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, ১৯৭৫-৭৬ অর্থবছরে শহরের গোবিন্দনগর এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন একর জমিতে নির্মাণ করা হয় কারখানাটি। জাতীয়করণ করা হয় ১৯৮১ সালে। পরে ২০০২ সালে তৎকালীন সরকার লোকসানের অজুহাতে বন্ধ করে দেয় কারখানাটি।
রেশম বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি সংস্থা আরডিআরএস স্থানীয় বেকার নারী-পুরুষদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে ঠাকুরগাঁও শহরের গোবিন্দনগর এলাকায় ৩ দশমিক ৩৪ একর জমির ওপর রেশম কারখানাটি স্থাপন করে। পরে ১৯৮১ সালের ৩০ জুন সরকারি সিদ্ধান্তে ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানাটি রেশম বোর্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কারখানাটিতে ২০টি রিলিং বেসিন, ৩টি শক্তিচালিত তাঁত, ১৯টি হস্তচালিত তাঁত ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি বসানো ছিল।
রংপুর অঞ্চলের উৎপাদন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, পাঁচ বছরের জন্য সুপ্রিয় এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৮ লাখ ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে কারখানাটি দেওয়া হয়েছে। তারা শুধু ভবন এবং যন্ত্রগুলো ব্যবহার করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২৩
এসআই