ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জয়পুরহাটে বাজুসের মতবিনিময় সভা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২৩
জয়পুরহাটে বাজুসের মতবিনিময় সভা

জয়পুরহাট: বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর হচ্ছেন বাংলাদেশের আধুনিক স্বর্ণশিল্পের রূপকার। তার সঠিক সিদ্ধান্ত ও নেতৃত্বের কারণেই বাজুস আজ দেশে স্মার্ট বাজুসে পরিণত হয়েছে।

যার সুফল পাচ্ছেন দেশের সব স্বর্ণ ব্যবসায়ী।

শুক্রবার (২৫ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে জয়পুরহাট-হিলি সড়কের হক কনভেনশন সেন্টারে বাজুস জয়পুরহাট জেলা শাখা আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।  

এর আগে ঢাকা থেকে আসা অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

বাজুস জয়পুরহাট জেলা শাখার প্রেসিডেন্ট এস এ নূরুন নবী দেওয়ানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি রিপনুল হাসান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ পবিত্র রঞ্জন ঘোষ ও বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ের কার্যকরী সদস্য এনামুল হক সোহেল।  

সভায় দিলীপ কুমার রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বর্ণশিল্পের বিকাশে একটি সঠিক ও যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন করেছেন। সেই নীতিমালার আলোকে বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর দেশেই একটি স্বর্ণ রিফাইনারি কারখানা গড়ে তুলছেন। ফলে বিদেশ থেকে আর স্বর্ণ আমদানি করতে হবে না, বরং দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে গুণগতমানের স্বর্ণ রপ্তানি করা হবে। যাতে লেখা থাকবে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’। এতে জাতির পিতার সোনার বাংলা নামকরণের সার্থকতা কিছুটা হলেও পূরণ হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে স্বর্ণশিল্পীদের জন্য প্রশিক্ষণ সেন্টার খোলা হবে। যেখানে সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা স্বর্ণশিল্পীরা স্মার্ট গহনা তৈরিতে কাজে লাগবে। পাশাপাশি নিম্নমানের স্বর্ণ কেউ যাতে ক্রয় করে নতুন গহনা বানাতে না পারে সেজন্য বাজুস মনিটরিং করবে। প্রয়োজনে তাদের জরিমানার আওতায় নিয়ে আসা হবে।

বাজুসের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় একটি করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি রয়েছে। এসব কমিটিতে কোনোভাবেই বিভাজন রাখা যাবে না। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আর জয়পুরহাট জেলা শাখার যে কমিটি রয়েছে, সেটিই আগামী দিনে সুন্দর একটি নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি উপহার দেবে বলেও আমাদের বিশ্বাস। এ সময় জয়পুরহাটের চারটি উপজেলায় পূর্ণাঙ্গ কমিটি থাকলেও শুধুমাত্র আক্কেলপুর উপজেলায় এখনও কমিটি গঠন হয়নি জানিয়ে জেলা নেতাদের দ্রুত বাকি উপজেলার কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন দিলীপ কুমার রায়।

তিনি বলেন, সায়েম সোবহান আনভীর বাজুসের দায়িত্ব নেওয়ার পর সারাদেশের সাধারণ জুয়েলারি মালিকরা বাজুসের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। ফলে তারা সুফল পাচ্ছেন। দেশের ৬৪ জেলার ৪০ হাজার সদস্য নিয়ে বাজুস এখন সক্রিয় ও সুসংগঠিত সংগঠন। প্রশাসনও জুয়েলারি মালিকদের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রশাসনের হয়রানি আগের চেয়ে অনেক কমেছে। চুরি ও ডাকাতির গহনা উদ্ধারে পুলিশ ব্যাপক সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে জুয়েলারি শিল্প নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাবে।

দিলীপ কুমার রায় বলেন, গার্মেন্টস শিল্প যেমন করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, একদিন জুয়েলারি শিল্পও রপ্তানি খাতে গার্মেন্টস শিল্পের মতো অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। যার পুরো নেতৃত্বে রয়েছেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি যে সিদ্ধান্ত ও দিকনির্দেশনা দেবেন তা আমাদের সবাইকে অনুসরণ করতে হবে।  

আমাদের স্বর্ণশিল্পে অনেক সমস্যা রয়েছে, এসব সমস্যা সমাধানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গুটি কয়েক ব্যবসায়ীর কারণে স্বর্ণ ব্যবসার সুনাম কিছুটা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। ব্যবসায় লাভ করবো কিন্তু প্রতারণা করা যাবে না। আমরা সারাদেশে একসঙ্গে স্মার্ট জুয়েলারি ব্যবসা করতে চাই। স্মার্ট জুয়েলারি ব্যবসার দিকপাল হচ্ছেন বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর। যোগ করেন- দিলীপ কুমার রায়।

মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন বাজুসের জয়পুরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত কুমার সাহা। এ সময় জয়পুরহাটের বিভিন্ন উপজেলার বাজুসের নেতা ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২৩
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।