ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বরগুনা মাছ বাজারের নাম কালেক্টর মার্কেট রাখার দাবি

জাহিদুল ইসলাম মেহেদী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩
বরগুনা মাছ বাজারের নাম কালেক্টর মার্কেট রাখার দাবি

বরগুনা: হারাতে বসেছিল বরগুনা পৌর শহরের বাজারের শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্য। পরে পোশাক, ওষুধ, মিষ্টির বাজারসহ একেক করে জেলা প্রশাসনের কালেক্টর মার্কেট স্থাপনে শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্য ফিরেছে।

 

তবে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বাজারই এখনো এমন সুন্দর রূপ পায়নি। তার মধ্যে একটি বরগুনা মাছ বাজার। এ বাজারটি সুশৃঙ্খল ও সাজানো গোছানো করতে কালেক্টর মার্কেট হবে বলে আশা করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সৈকত সৌন্দর্যের জেলা বরগুনার বেশির ভাগ মানুষ মৎস্যজীবী। আর জেলার মাছ বাজারগুলোর মধ্যে বরগুনা বাজার অন্যতম। যেখানে পেশা হিসেবে যুগের পর যুগ ঐতিহ্য ধরে রেখে মাছ ব্যবসা করে আসছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তবে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর তেমন একটা শৃঙ্খলা না থাকায় কখনোই সৌন্দর্য বাড়েনি বাজারের। আর তাই বাজারের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর করতে এখানেও একটি কালেক্টর মার্কেটের দাবি উঠেছে।  

এ বিষয় স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, সরকার কালেক্টর মার্কেট করে বাজারের সৌন্দর্য বাড়াতে পারে। আমরাও চাই স্বাস্থ্যকর পরিবেশে ব্যবসা করতে। কিন্তু সম্প্রতি আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ হওয়ায় আমরা বাজারের সব মৎস্য ব্যবসায়ীরাই এখন মানবেতর জীবনযাপন করছি। তারপরও আমরা সৌন্দর্য ফেরাতে প্রশাসনের সঙ্গে সাধ্যমতো পাশে থাকব।

মৎস্য ব্যবসায়ী মো. দেলোয়ার, মো. লিটন, মো. কবির বলেন, এ বাজারটি বরগুনার শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এখানে অনেক সময় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন হয়রানির শিকার হন। নানা অজুহাতে অসাধু ব্যক্তিরা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে নবনির্মিত মার্কেট বন্ধ করার পাঁয়তারা করছেন। এ স্থানে ব্যবসা-বাণিজ্য করে সংসার চালান শতাধিক ব্যবসায়ী। ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আমাদের এ মার্কেট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে ফায়দা নিতে চাচ্ছে চক্রটি। তাই এখানকার পাইকারি মৎস্য ব্যবসায়ীদের মার্কেটটি যদি কালেক্টর মার্কেট হিসেবে নামকরণ করা হয়। তাহলে অন্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের রাক্ষুসে থাবা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

মারুফ রহমান নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ব্যবসায়ীদের মার্কেটের নামকরণের দাবিতে যথেষ্ট যুক্তি আছে। জেলা প্রশাসকের ছায়ায় থাকলে অনেক বিপদ থেকেই তারা রক্ষা পাবেন।

আড়তদার সমিতির সভাপতি জহিরুল হক পনু বলেন, কালেক্টর মার্কেট এ নামে নামকরণ করা হলে ব্যবসায়ীদের জন্য বিভিন্ন সময় সরকারি বেসরকারি এবং ব্যাংকিং খাত থেকে সুযোগ-সুবিধা পাওয়া সহজ হবে। আমাদের দাবি, নবনির্মিত মার্কেটটি কালেক্টর মার্কেট হিসেবে যেন ঘোষণা করা হয়।

ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীদের দাবি, পৌর মাছ বাজারের পেছনে নবনির্মিত মার্কেটটি কালেক্টর মার্কেট নামকরণ করার। কালেক্টর মার্কেট নামকরণ করা হলে অন্য মার্কেটেন তুলনায় ব্যবসায়ীরা বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবেন বলে আমি আশাবাদী।

বরগুনার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কাছে এ বিষয় এলাকার ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা যদি আবেদন করেন, তাহলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।