ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিশ্ব ডিম দিবস

এক বছরে হালিতে ডিমের দাম বেড়েছে ১২.৬৩ শতাংশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
এক বছরে হালিতে ডিমের দাম বেড়েছে ১২.৬৩ শতাংশ

ঢাকা: আজ বিশ্ব ডিম দিবস। এই দিনে বিশ্বজুড়ে ডিমের গুণগতমান সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ পালিত হচ্ছে।

 

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য -  ‘ডিমে পুষ্টি ডিমে শক্তি, ডিমে আছে রোগমুক্তি’।

কিন্তু ডিম দিবসেও দেশে ডিমের দাম এতটাই বেড়ে গেছে যে, সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে।  

টিসিবির মূল্য তালিকা থেকে একবছরের ডিমের দামের তুলনা করলে দেখা যায়, গত এক বছরের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিমের দাম বেড়েছে ১২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। আজকের দিনে একবছর আগে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হতো ৪৫ টাকা দরে।  

তবে বর্তমানে এই ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকা দরে। অর্থাৎ একজন সাধারণ মানুষের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে প্রতিটি ডিম কিনতে হচ্ছে প্রায় ১৪ টাকায়। এ পরিস্থিতি আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডিম দিবস।

এছাড়াও দুই দিনের ব্যবধানে ডিমের দামও বেড়েছে প্রতি ডজনে ১০ টাকার মতো। গত সপ্তাহে প্রতি ডজন লাল ডিম ছিল ১৫৫ টাকা। আজ প্রতি ডজন লাল ডিম ১৬০-১৬৫ টাকা, সাদা ডিম ডজন প্রতি ১৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।  

এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ নিম্ন আয় ও শ্রমজীবী মানুষ ডিম খাওয়াও কমাতে শুরু করেছেন।  
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে ডিমের বাৎসরিক প্রাপ্যতা মাথাপিছু ১৩৫টি, গত বছর এই সংখ্যা ছিল ১৩৬টি।

আর দেশের বাজারে বেশ লম্বা সময় ধরেই ডিমের বাজারে অস্থিরতা চলছে। গত আগস্টে এক ডজন ডিমের দাম ১৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০ টাকা পর্যন্ত হয়েছিল। তখন অস্বাভাবিকভাবে ডিমের দাম বাড়ার পেছনে কারণ হিসেবে ‘সিন্ডিকেট’কে দায়ী করা হয়।  

এর পরই গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমবারের মতো প্রতিটি ডিমের মূল্য ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেয়।

তাদের কোনো লাভ হয়নি। দর বেঁধে দেওয়ার এক মাস পরও বাজারে তা কার্যকর করা যায়নি। খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিম সেই ১৪ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দাম কমাতে গত মাসে তিন দফায় ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু এ পর্যন্ত আমদানির কোনো ডিম দেশে আসেনি।  

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ডিমের ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিমের দাম বেশি হওয়ায় তারা এখন আর ডিম আগের মতো খাচ্ছেন না তারা। ডিম খেতে গিয়ে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। ফলে এক প্রকার পুষ্টিহীনতার শঙ্কা করছেন তারা। দাম কমাতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সাধারণ ক্রেতারা।  

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত আইইসি ভিয়েনা কনফারেন্স থেকে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী চলছে একটি ইতিবাচক ক্যাম্পেইন। যার মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে ডিমের প্রয়োজনীয়তার বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে- প্রতি বছর অক্টোবরের দ্বিতীয় শুক্রবারে বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে- ‘বিশ্ব ডিম দিবস’।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
ইএসএস/ এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।