ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অবরোধ: আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক বুড়িমারী স্থলবন্দরে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৩
অবরোধ: আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক বুড়িমারী স্থলবন্দরে

লালমনিরহাট: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের কোনো প্রভাব পড়েনি বুড়িমারী স্থলবন্দরে। স্বাভাবিকভাবেই চলছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।

গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপি-জামায়াত টানা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করলেও এর কোনো প্রভাব নেই লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে। আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক থাকলেও বন্দর থেকে অন্য জেলায় পণ্য পরিবহনের সংখ্যা কিছুটা কমেছে।  

ব্যবসায়ীরা জানান, অবরোধ ঘোষণা করলেও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কোনো কর্মসূচি থাকে না। তাই এ দু’দিন জরুরি পণ্য বন্দর এলাকার কাছাকাছি পৌঁছে রাখছেন ব্যবসায়ীরা।  

অন্যদিকে, একইভাবে জেলার বাইরেও পাঠানো হয় আমদানি পণ্য। এছাড়া রাতে কিছু কিছু ট্রাক বন্দর ছেড়ে বিভিন্ন জেলায় চলে যায়। বুড়িমারী স্থলবন্দর ঘিরে সব রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ব্যবসা রয়েছে। ফলে রাজনৈতিক কোনো হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি বুড়িমারী স্থলবন্দরে পালিত হয় না। কোনো রাজনৈতিক দলই তা করে না।

শ্রমিকরা জানান, বুড়িমারী স্থলবন্দরে সব ধরনের পণ্য লোড-আনলোড স্বাভাবিক রয়েছে। শুধু মাত্র বন্দরের বাইরে পণ্য পাঠানো ও পরিবহন করায় কিছুটা ভাটা পড়েছে। তবে উভয় দেশে ট্রাক যাওয়া-আসা আগের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।  

শ্রমিক আজিজুল ইসলাম বলেন, বন্দর এলাকায় কোনো হরতাল-অবরোধ নেই। এসব পাটগ্রাম উপজেলা সদরে কিছু রয়েছে। বন্দরের সঙ্গে সব দলের নেতাদের মূল ব্যবসা। তাই কোনো দলেই তাদের ব্যবসার ক্ষতি করে না। এ ক্ষেত্রে সবাই একমত।  

ব্যবসায়ী রোকন উদ্দিন বলেন, হরতাল বা অবরোধে বন্দরে কোনো প্রভাব নেই। তবে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিবেশে কনস্ট্রাকশনের কাজ করছেন না ঠিকাদাররা। ফলে পাথরের চাহিদা কমায় দামও কমেছে। কিন্তু ভারতে বেড়েছে পাথরের মূল্য। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে, আলুসহ কাঁচা পণ্য বন্দরে বেশি দিন রাখা যায় না। সময় মতো বাজারে পাঠাতে না পারলে পচে যাচ্ছে পণ্য। সেক্ষেত্রেও লোকসানের শঙ্কায় রয়েছি। বন্দরের আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ট্রাক যাতায়াতে নিরাপত্তার দাবি জানাই।

বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমীন বাবুল বলেন, বুড়িমারী বন্দরে হরতাল অবরোধের কোনো প্রভাব নেই। আগের মতোই বন্দরে ভিড়ছে ট্রাক।

বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্র্যাফিক) গিয়াস উদ্দিন বলেন, বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। হরতাল-অবরোধের কোনো প্রভাব নেই এখানে। কিন্তু আমদানি-রপ্তানি পণ্য বাইরের জেলায় যাতায়াত কমে যাওয়ায় বন্দরে ট্রাক কমেছে। দৈনিক গড়ে ৩০০ ট্রাক বন্দরে ভিড়ার কথা থাকলেও গতকাল বৃহস্পতিবার মাত্র ১৭৯টি ট্রাক বন্দরে আসে। যা অন্যদিনের তুলনায় কম।  

তিনি আরও বলেন, কোনো ব্যবসায়ী পণ্য  আমদানি করে সেটা বাইরে জেলায় বিক্রি বা সরবরাহ করতে না পারলে সেই ব্যবসায়ী নতুন করেতো কোনো পণ্য আমদানি করছেন না। যার কারণে ট্রাক কমেছে। তবে নিরাপত্তা জোরদার করে বন্দরের পণ্যবাহী ট্রাক সারা দেশে পরিবহনের ব্যবস্থা করলে সমস্যা কেটে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।