ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঝাঁজ কমেছে পেঁয়াজের, আরও কমবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩
ঝাঁজ কমেছে পেঁয়াজের, আরও কমবে

ঢাকা: অসৎ মজুতদারদের কারসাজিতে রাতারাতি অযৌক্তিক মূল্য বাড়ার পর রাজধানীর বাজারে এবার কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর মহাখালী কাঁচা বাজার ঘুরে পেঁয়াজের দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।

এ সংকটের শুরু হয় ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর থেকে। তবে, এবার দাম বাড়ার পর দেখা গছে ভিন্ন চিত্র। এবার বাড়তি দামের বিরুদ্ধে এক হয়েছেন ভোক্তারা। সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে পেঁয়াজ কেনা থেকে বিরত থাকতে প্রচারণা চালানো হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। এছাড়া বাজারে আসতে শুরু করেছে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ। সব মিলিয়ে ঝাঁজ কমছে পেঁয়াজের।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দাম কম হওয়ায় বাজারে বেশি বিক্রি হচ্ছে নতুন পেঁয়াজ। সে সঙ্গে পেঁয়াজ পাতারও চাহিদা বেড়েছে। বাজারে দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। এছাড়া ভারতীয় পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি, দেশি পুরাতন পেঁয়াজ ২০০ টাকা আর তুরস্ক থেকে আমদানি করা বড় সাইজের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়।

অন্যদিকে, বেশি দামে কিনে রাখায় বাধ্য হয়ে লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ। এমনকি পচতেও শুরু করেছে অনেকের পেঁয়াজ। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রেতা দোকানিরা পেঁয়াজের পসরা সাজিয়ে বসে থাকলেও সেগুলোতে ক্রেতা নেই বললেই চলে। ফলে, অনেকের পেঁয়াজই পচতে শুরু করেছে, যেগুলো আলাদা করে আরও কম দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।

মহাখালী কাঁচা বাজার এলাকার পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহ আলম বাংলানিউজকে জানান, ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার পরপরই বেশি দামে বিক্রির আশায় ভারতীয় পেঁয়াজ কিনে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় ভোক্তাদের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া এবং নতুন দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসায় মাথায় হাত তার। বাধ্য হয়েই লোকসানে ছাড়তে হচ্ছে তার পেঁয়াজ।

ভ্যানে করে দেশি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি করছেন তাফাজ্জল হোসেন নামে এক বিক্রেতা। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, নতুন পেঁয়াজ একটু বড় সাইজের ১০০ টাকা, আর ছোট সাইজের ৯০ টাকা কেজি করে বিক্রি করছি। মানুষ এখন নতুন পেঁয়াজটাই বেশি নিচ্ছে।

দাম আরও কমবে উল্লেখ করে এ ব্যবসায়ী বলেন, চলতি সপ্তাহে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ আরও বাড়বে বাজারে; তখন দাম আরও কমবে।

বাজারে পেঁয়াজ কিনছিলেন আখলাকুজ্জামান নামে একজন। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম কমেছে কিছুটা। আমাদের মধ্যবিত্তের জন্য তো এমনিই কষ্ট। আমরা যদি সবাই মিলে পেঁয়াজের ব্যবহার একটু কমিয়ে দেই, তাহলেই দেখবেন দাম আগের জায়গায় ফিরে আসবে। নতুন পেঁয়াজও বাজারে এসে গেছে, আশা করছি দাম আরও কমে আসবে।

এর আগে, গত ৮ ডিসেম্বর এক আদেশে আগামী মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত জানায় ভারত। এ সিদ্ধান্ত আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এক লাফে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, এমনকী বাজারভেদে ২৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে যায় ভারতীয় পেঁয়াজের দাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩
এমকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।