ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বসুন্ধরা পেপার সেক্টর সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ, নতুন দিগন্তের সূচনা 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
বসুন্ধরা পেপার সেক্টর সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ, নতুন দিগন্তের সূচনা 

দেশের কাগজশিল্পের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড (বিপিএমএল) এবং বসুন্ধরা মাল্টি পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (বিএমপিআইএল) স্বীয় ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রথম সাস্টেইনেবিলিটি রিপোর্ট উন্মোচন করেছে। এই রিপোর্টে পরিবেশগত, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সুব্যবস্থাপনার (ইএসজি) প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়েছে।

 

গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টার-২-এ উন্মোচিত এই প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠান দুটির টেকসই ও দায়িত্বশীল ব্যবসা পরিচালনার প্রতি গুরুত্বের প্রতিফলন ফুটে উঠেছে।

প্রতিবেদন বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান এবং বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান এফসিএ।  

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তৌফিক হাসান (বিভাগীয় প্রধান-মার্কেটিং, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এবং সাসটেইনেবিলিটি, সেক্টর-সি, বসুন্ধরা গ্রুপ) ও এম মাজেদুল ইসলাম (কোম্পানি সেক্রেটারি, সেক্টর সি, বসুন্ধরা গ্রুপ)-সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। তারা এই অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ব্যবসাক্ষেত্রে সাসটেইনেবিলিটি উদ্যোগগুলি প্রচারের ব্যাপারে বসুন্ধরা গ্রুপের মুখ্য ভূমিকার উদাহরণ তুলে ধরেন।  

এই বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরিতে ইএসজি রিপোর্টিংয়ের বিষয়গুলি নিরূপণের জন্য ‘ডুয়েল মেটেরিয়ালিটি’ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে। এই নীতি অনুযায়ী, আর্থিক এবং অ-আর্থিক উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোম্পানির সাস্টেইনেবিলিটি বিষয়ে ঝুঁকি এবং সুযোগ বিবেচনা করা হয়েছে। এই দ্বৈত দৃষ্টিভঙ্গির ফলে কোম্পানির স্থায়িত্বে একটি ভারসাম্যপূর্ণ উপস্থাপনা নিশ্চিত হয়।  

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের কাগজশিল্পের জন্য এই সাস্টেইনেবিলিটি প্রতিবেদন একটি যুগান্তকারী নথি হিসেবে সংরক্ষিত থাকবে। এটি বিশ্বব্যাপী অনুসৃত সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলের (এসডিজি ) সঙ্গে মিল রেখে এবং গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) স্ট্যান্ডার্ডের নির্দেশিকা অনুযায়ী তৈরি হয়েছে। তাই এটি যে শুধু বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড এবং বসুন্ধরা মাল্টি পেপার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আর্থসামাজিক এবং পরিবেশের প্রতি অবদানের কথা বলে তাই নয়, বরং সাস্টেইনেবিলিটি বা টেকসই উন্নয়নে তাদের দৃঢ়তার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে।  

প্রতিবেদনের মূল লক্ষ্য হলো, পেপার সেক্টরের কাঁচামাল সংগ্রহ, পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের সর্বক্ষেত্রেই সাস্টেইনেবিলিটি প্র্যাকটিসের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে এই শিল্পে তার গুরুত্ব প্রচার এবং প্রসার করা। এই প্রতিবেদনে কোম্পানি দুটির উদ্যোগের যে বিবরণ দেওয়া হয়েছে তা উল্লেখযোগ্য সামাজিক এবং পরিবেশগত প্রভাব ফেলেছে বলে প্রমাণিত।  

প্রতিবেদনে ২০৩০ সাল পর্যন্ত লক্ষ্য ধার্য করে এবং এটি অর্জনের করণীয় সব পদক্ষেপের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি জীবনভিত্তিক বিভিন্ন কেস স্টাডি এবং নানামুখী সাস্টেইনেবিলিটি ক্যাম্পেইনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ এর প্রাক-কোভিড সময় থেকে শুরু করে ২০২১-২২ সালের সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডকে প্রতিবেদনে স্থান দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।