ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ, সবজি আগের দামেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪
বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ, সবজি আগের দামেই

ঢাকা: সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজ সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে শীতকালীন প্রতিটি সবজি আগের দামে বিক্রি হলেও নতুন আলুর দাম কমেছে।  

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ১৪০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে জানান শেওড়াপাড়া বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, হঠাৎ করেই দাম বাড়ার কারণে বিক্রি কিছুটা কমেছে।

বাজারে দেখা গেছে, শীতকালীন সব ধরনের সবজি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন আলুর দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুলার কেজি ৪০ টাকা, শিম ৭০ থেকে ৯০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা এবং গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা।  

বেগুনের কেজি ৬০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকায়, খিরা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৭০ টাকা। বাজারে প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা দরে। পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, জালি কুমড়া ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁয়াজের কলি ৬০ টাকা ও কাঁচা মরিচের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

লাল শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। লাউ শাক ৪০ টাকা, মূলা শাক ১৫ থেকে ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি  শাক ১০ টাকা।

চলতি সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। গত সপ্তাহে একই দামে বিক্রি হয়েছিল। তবে সোনালি, সোনালি হাইব্রিড মুরগির দাম কমেছে। বাজারগুলোতে সোনালি ২৮০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬২০ থেকে ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম ২০০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি প্রতি ৮০০ টাকা। চাষের শিং (আকারভেদে) মাছের কেজি ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

প্রতি কেজি মাগুর ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, পাঁচমিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা, বাইম এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার টাকা, মেনি ৭০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪
এসএমএকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।