ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির কারণে ব্যাংকিং খাত তারল্য সংকটের মুখে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতির কারণে ব্যাংকিং খাত তারল্য সংকটের মুখে’

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতির কারণে ব্যাংকিং খাত তারল্য সমস্যার দিকে এগোচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ)।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু পলিসির কারণে ব্যাংকগুলো বন্ডে বিনিয়োগের দিকে উৎসাহিত হচ্ছে।

এর ফলে ব্যাংকে তারল্য সংকট দেখা দেবে। নতুন বিনিয়োগ আসবে না; বেকারত্বের হার বাড়বে। কিন্তু আমাদের বর্তমান শিল্পগুলো বাঁচিয়ে রাখা অত্যন্ত জরুরি।  

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিসিআই পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে ফুলের শুভেচ্ছা এবং বিসিআইয়ের ‘আমার পণ্য আমার দেশ’ লোগো স্মারক উপহার দেওয়া হয়।

আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এখন লক্ষ্য মূদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশে নিয়ে আসা। ঋণের সুদ হার বাড়িয়ে তারা মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছে। আর সুদ হার নির্ধারণে স্মার্ট পদ্ধতি ব্যবহার করছে।

তিনি বলেন, দেশের শিল্প খাত একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান তার পূর্ণ সক্ষমতায় চলতে পারছে না, উচ্চ মূদ্রাস্ফীতির কারণে সব প্রতিষ্ঠানের বিক্রি কমে গেছে। গ্যাসের প্রেসার কম, ঋণের সুদ হার- সবকিছু মিলিয়ে দেশীয় শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

বিসিআই সভাপতি বলেন, নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহের আশ্বাস এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার কারণ দেখিয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম অনেক কমে আসার পরও শুনছি আবার বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো হবে। এতে শিল্প খাত আরও সমস্যায় পড়বে।

জ্বালানি সমস্যার একটা টেকসই সমাধান হওয়া জরুরি এবং জ্বালানির ক্ষেত্রে শিল্প খাতকে একটা দীর্ঘ মেয়াদি স্পষ্ট পরিকল্পনা দেওয়া গেলে শিল্প খাতও সে অনুসারে আগাতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শিল্পমন্ত্রী বিসিআই নেতাদের কথা ধৈর্য্য সহকারে শোনেন এবং বলেন, দেশের শিল্পগুলোর অবস্থা সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। আমরা চাই দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাক, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাক। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআরের চেয়ারম্যান, অর্থসচিব এবং দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভা আয়োজন করছি। সেখানে সব পক্ষ মিলে দেশীয় শিল্প যাতে টিকে থাকতে পারে, সে ব্যবস্থা নিতে আলোচনা করা হবে।

সভায় বিসিআইয়ের উর্ধ্বতন সহ-সভাপতি প্রীতি চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস, পরিচালক ড. দেলোয়ার হোসেন রাজা, জিয়া হায়দার মিঠু, মিজানুর রহমান, নাজমুল আনোয়ার, সোহানা রউফ চৌধুরী, মো. সেলিম জাহান, মো. মাহফুজুর রহমান এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
জেডএ/নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।