ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মূল্যস্ফীতি কমাতেই সুদের হার বাড়ানো হয়েছে: সালমান এফ রহমান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
মূল্যস্ফীতি কমাতেই সুদের হার বাড়ানো হয়েছে: সালমান এফ রহমান

ঢাকা: মূল্যস্ফীতি কমাতেই সুদের হার বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান) ।  

তিনি বলেন, ডলার ও সুদের হার বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ ব্যাংক সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে মনে করি।

কারণ রপ্তানি ও প্রবাস আয় ভালো করবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ সুসংগঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (০৯ মে) ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ২৯তম বার্ষিক ইউএস ট্রেড শো-এর উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, অ্যামচাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ডলার ও সুদের হার বাড়ানো সময়ের দাবি। অনেক আগেই সুদের হার বাড়ানোর কথা ছিল। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি কমাতেই সুদের হার বাড়ানো হয়েছে। এটার বাস্তবতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে পুনর্বিবেচনা করা হবে। দেশের অর্থনীতির বুনিয়াদ বেশ শক্তিশালী। এর ফলে আমদানি বা দেশের অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কেন না অনেক বেশি মূল্যেই আমাদের পণ্য আমদানি করা হতো।

দেশের অর্থনীতির বুনিয়াদ অনেক শক্তিশালী উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কিছু দিনের মধ্যে বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় সক্ষম হবে।  

এফ রহমান বলেন, আমাদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কর ও ভ্যাট ব্যবস্থা। আমাদের কর ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে হবে। কারণ আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বনিম্ন। গত বছর থেকে এ বছর কর অনুপাত কমেছে। এজন্য সরকারকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। আমি দীর্ঘদিন ধরে করের হার না বাড়িয়ে ট্যাক্স নেট বাড়ানোর কথা বলে আসছি। দুর্ভাগ্যবশত, এনবিআর ট্যাক্স নেটের মধ্যে থাকাদের ওপর বেশি করে কর আরোপ করছে, আর যারা ট্যাক্স নেটের বাইরে আছে তারা অস্পষ্ট রয়ে গেছে। আমাদের কর নেট প্রশস্ত করে এবং করের হার কমিয়ে রাজস্ব বৃদ্ধির করতে হবে।

তিনি বলেন, সীমান্ত পর্যায়ে আমাদের ট্যাক্স, ভ্যাট এবং শুল্ক ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাল করতে হবে এবং সব কিছু অনলাইনে করতে হবে। আমেরিকান কোম্পানিগুলো তাদের প্রযুক্তি এখানে এনে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।

মুদ্রাপাচার ও ব্যাংকগুলো একীভূত করা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, দেশ থেকে মুদ্রা পাচার নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য নেই। এ ছাড়া আমেরিকার একটি প্রতিষ্ঠান এটা বললেও তারা সঠিক ডাটা দিতে পারেনি। ঋণখেলাপি কমানোর জন্য বাংলাদেশে ব্যাংক কাজ করছে।

ব্যাংকগুলোর একীভূত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বের সব জায়গায় এটা হয়। ব্যাংকগুলো চাইলে স্বেচ্ছায় এটা করতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক এর জন্য জোর প্রয়োগ করছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, মে ০৯,২০২৪
জিসিজি/এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।